ব্যুরো নিউজ ২০ জুন : বিয়ে করবেন বলে প্রেমিক সঞ্জয় কেভিন এম-এর সঙ্গে বেঙ্গালুরু থেকে গোয়ায় এসেছিলেন ২২ বছর বয়সী রোশনি মোসেস এম। কিন্তু বিয়ের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। দক্ষিণ গোয়ার প্রতাপ নগর এলাকার একটি জঙ্গল থেকে সোমবার সন্ধ্যায় রোশনির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, তাঁর প্রেমিক সঞ্জয়ই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সঞ্জয় কেভিন এম-কে গ্রেফতার করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত এবং খুনের বিবরণ
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত রোশনি মোসেস উত্তর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ছিলেন এবং সঞ্জয় কেভিন এম-ও উত্তর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের পর তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে গোয়ায় আসেন। তবে গোয়ায় আসার পর তাঁদের মধ্যে কোনো এক অজানা কারণে তীব্র বচসা শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই বচসার জেরেই সঞ্জয় রোশনিকে খুন করে। দক্ষিণ গোয়ার প্রতাপ নগর জঙ্গলে রোশনির দেহ ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলা কেটে খুন করা হয়েছে। মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তবে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি, স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ স্ত্রী !
পুলিশের তদন্ত ও গ্রেফতার
দক্ষিণ গোয়ার এসপি টিকাম সিং জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, প্রেমের সম্পর্কের বিবাদের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। একটি ব্যাগ থেকে বাসের টিকিট উদ্ধার হয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করেছিল। তবে রোশনিকে কবে খুন করা হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দুটি সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে – হয় অন্য কোথাও খুন করে দেহ জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে, অথবা জঙ্গলের কাছে নিয়ে এসে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর প্রকৃত সত্য সামনে আসবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয়কে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং একটি মামলা দায়ের করে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
মেঘালয় মধুচন্দ্রিমা হত্যাকাণ্ড রহস্য : স্ত্রী সোনমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ !!! গ্রেফতার আরও ৩
একটি বেদনাদায়ক পর্যবেক্ষণ
সাম্প্রতিক এই ঘটনাটি ভালোবাসার সম্পর্কের এক অন্ধকার দিক তুলে ধরেছে। এর আগেও আমরা দেখেছি যে, মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্ত্রী স্বামীকে খুন করেছেন, আর এবার পালিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে বাগদত্তা প্রেমিক এর হাতেই খুন হলেন। দৈনন্দিন এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহের পর, আজকের দিনে ভালোবাসা এবং প্রণয়ের উপর মানুষের বিশ্বাস কি আর অটুট থাকবে? এই প্রশ্নটি স্বাভাবিকভাবেই জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করছে।