ব্যুরো নিউজ,২৪ এপ্রিল: পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে তিনি হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারকে সহানুভূতি জানান। এর পাশাপাশি, ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং ভারতকে তাদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
মমতার খামে রাজনৈতিক কৌশল? দিলীপের দরজায় পৌঁছল নবান্ন!
ট্রাম্প প্রশাসনের একসাথে প্রতিক্রিয়া: শোক ও সহানুভূতি
পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের প্রতি শোকজ্ঞাপন ও সহানুভূতি জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন এবং অন্যান্য বিশ্বনেতারা। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি, সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “কাশ্মীরে এই মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলার পর, আমি ভারতের জনগণের জন্য প্রার্থনা করছি। এই কঠিন সময়ে আমেরিকা তার ভারতীয় বন্ধুদের পাশে রয়েছে। আমরা সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।” এছাড়া, নিউ ইয়র্কের সেনেটর চাক শুমারও বলেন, “কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নিরীহ পর্যটক এবং স্থানীয়দের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।” রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিকও একই রকম সহানুভূতি প্রকাশ করেন, “আমরা ভারতীয় ভাইবোনদের পাশে আছি। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই সংগ্রামে পূর্ণ সমর্থন জানাই।” বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রনেতারাও এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।” তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী সকল রাষ্ট্রকেই সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে একযোগে কাজ করতে হবে।”
হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, হামলার পরই ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়স্বাল এক্স হ্যান্ডলে জানান, মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে কথোপকথন হয় এবং ট্রাম্প নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানান। তিনি আমেরিকার পক্ষ থেকে ভারতের পাশে থাকার বার্তাও দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বার্তা আসলে ভারতের প্রতি আমেরিকার দৃঢ় সমর্থনকেই নির্দেশ করে। পহেলগাঁও হামলার পর, ভারত তার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এমন এক সময় যখন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ভারতের সফরে রয়েছেন, তখন পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় আমেরিকা তাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং শক্তিশালী অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই হামলার নিন্দা জানিয়ে, ভারতকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের সাহসিকতার জন্য সমর্থন দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে, আন্তর্জাতিক মহল নিশ্চিত করেছে যে, ভারত একা নয়—সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে গোটা বিশ্ব তার পাশে রয়েছে।