recipe

ব্যুরো নিউজ,২৪ এপ্রিল: বাঙালির রান্নাঘরে “বড়ি” মানেই এক অন্যরকম আবেগ। ছোটবেলার স্মৃতি, গরমের ছাদে কড়া রোদে বড়ি শুকোনো আর কাক-পায়রার হাত থেকে তা বাঁচানোর রুদ্ধশ্বাস লড়াই—এই সব কিছুই বড়িকে ঘিরে এক জাদুকরী রন্ধন রূপকথার অংশ করে তুলেছে। আর সেই রূপকথাতেই নতুন মাত্রা যোগ করে “বড়িভাপা”। কোনও তরকারির সহচর নয়, এই রেসিপিতে বড়ি নিজেই নায়ক! এক সময়ে বাড়ির মেহনতেই তৈরি হত এই ডালের বড়ি—মুসুর, বিউলি, কিংবা মটর ডাল বেটে, জিরে মিশিয়ে, ধুতিতে সাজিয়ে সূর্যের রোদের ওপরে নির্ভর করে তৈরি হতো এই ছোট্ট কিন্তু অমূল্য উপাদান। আজকাল সেই বড়ি দোকানে মিললেও, তার ঐতিহ্য ও আবেগ একই রয়ে গিয়েছে্মত।

মেয়ের শ্বশুরের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম মমতার, প্রায় রাত কাটাতেন একসাথে তারপর সকলে যা দেখল তাতে কপালে উঠলো চোখ

একটা বড়ি চাই—এই চাওয়া থেকেই বড়িভাপার জয়যাত্রা

বড়িভাপা রেসিপি:
এই রান্নায় বড়ির প্রধানত্ব স্পষ্ট। নিচে দেখে নিন বড়িভাপার সহজ কিন্তু চিরকালীন পদ্ধতি।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ইস্তেহারে ঢালাও প্রতিশ্রুতি মোদির

 উপকরণ:

  • ডালের বড়ি – ২০-২৫টি

  • সর্ষের তেল – ৫-৬ টেবিল চামচ

  • সাদা ও কালো সর্ষে – যথাক্রমে ২ ও ১ টেবিল চামচ

  • গোটা জিরে ও পোস্ত – ১ চা চামচ করে

  • কাঁচালঙ্কা – ৪-৫টি

  • টম্যাটো – ১টি, ডুমো করে কাটা

  • হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ

  • নুন ও চিনি – স্বাদমতো

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?

প্রণালী:
প্রথমে বড়িগুলোকে সর্ষের তেলে লালচে করে ভেজে নিন। একটি বাটিতে জল নিয়ে তাতে সাদা-কালো সর্ষে, জিরে, পোস্ত, নুন ও ২টি কাঁচালঙ্কা ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রেখে মিহি বেটে নিন। এরপর এক স্টিলের টিফিন বাক্সে বাটা মশলা, টম্যাটো, বড়ি, বড়ি ভাজার তেল, কাঁচালঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো ও সামান্য চিনি দিয়ে ভালোভাবে মেশান। বাক্সটি ভালোভাবে ঢেকে দিন। একটি বড় কড়াইয়ে কিছুটা জল গরম করে তাতে ওই টিফিনবাক্সটি বসিয়ে দিন এবং ঢেকে রেখে দিন ১৫ মিনিট ভাপে। গ্যাস বন্ধ করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর ঢাকনা খুলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন বড়িভাপা। এই সহজ পদ্ধতিতেই তৈরি হয়ে যায় এক বাঙালির চিরচেনা অথচ চিরনতুন রেসিপি—যেখানে বড়ি একাই একশো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর