ব্যুরো নিউজ, ২২ এপ্রিলঃ কাশ্মীর উপত্যকায় আবারও জঙ্গি হামলার ঘটনা। মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসর এলাকায় অমরনাথগামী পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ছ’জন পর্যটক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?
অমরনাথ যাত্রা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আহতদের মধ্যে তিন জন স্থানীয় এবং বাকি তিন জন রাজস্থানের বাসিন্দা। তাঁরা অমরনাথ যাত্রার উদ্দেশ্যে পহেলগাঁও হয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি। হামলার পরপরই নিরাপত্তাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কাছের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গেছে, হামলার সময় জঙ্গিরা পর্যটকদের ভিড়ে মিশে ছিল এবং সুযোগ বুঝে তারা নির্বিচারে গুলি চালায়। সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
অমরনাথ যাত্রা প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্তকে কাশ্মীরের দুর্গম এলাকায় টেনে আনে। এই যাত্রা শুধুমাত্র ধর্মীয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পেরও একটি বড় অংশ। এই জঙ্গিহামলার ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে।
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
কাশ্মীরের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল পহেলগাঁও, যেখানে প্রতি বছর প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটক ভিড় করেন। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, “হামলার পিছনে কোন সংগঠন জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দ্রুত অপরাধীদের খুঁজে বার করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই জঙ্গি হামলা শুধু কাশ্মীর নয়, গোটা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকেই নতুন করে চোখ ঘোরাতে বাধ্য করছে। পরিস্থিতির উপর কেন্দ্র এবং রাজ্য প্রশাসনের কড়া নজর রয়েছে