ব্যুরো নিউজ,১১মার্চ: ভ্যালেন্টিনা ভ্যাসিলিয়েভ, যিনি ১৭০৭ সালে রাশিয়ার এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সন্তান জন্মদানকারী নারী হিসেবে পরিচিত। তাঁর জীবনকাহিনী অত্যন্ত অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য, যা আজও মানুষের মধ্যে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। ১৭৮২ সালে তিনি মারা যান, তবে তাঁর অতুলনীয় পরিবার জীবনের কারণে আজও তিনি বিশ্ব ইতিহাসে এক অনন্য জায়গা দখল করে আছেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্বীকৃত
পৃথিবীর কোন স্থানে মহাকাশযান ধ্বংস করার জন্য আদর্শ স্থান বেছে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা
ভ্যালেন্টিনা ছিলেন ফিওদর ভ্যাসিলিয়েভের প্রথম স্ত্রী। ফিওদর ছিলেন এক রাশিয়ান কৃষক, এবং তাঁদের পরিবার ছিল একটি বৃহৎ পরিবার। এই সময় জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না এবং সমাজে শিশু জন্ম দেওয়া নারীকে সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হত। ফলে, অনেক মহিলাই একাধিক সন্তানের জন্ম দিতেন, তবে ভ্যালেন্টিনা ভ্যাসিলিয়েভের কীর্তি ছিল একেবারেই অপ্রতিরোধ্য।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সন্তানের জন্য কি কি পুরস্কার দেবেন চন্দ্র বাবু নাইডু
ভ্যালেন্টিনা মোট ২৭ বার সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তার মধ্যে ১৬ জোড়া যমজ, ৭ জোড়া তিন সন্তান এবং ৪ জোড়া চতুষ্পদ অর্থাৎ একসাথে চারটি করে সন্তানের জন্ম দেন, যার ফলস্বরূপ মোট ৬৯টি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এমন একটি কীর্তি, যা একেবারেই সাধারণ মানুষের চিন্তাধারার বাইরে, এবং এটি আজও অবিশ্বাস্য মনে হয়। এই অবিশ্বাস্য কীর্তিটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্বীকৃত এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সন্তান জন্মদানকারী নারীর রেকর্ড হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ফ্যাটি লিভার হয়েছে কিভাবে জানবেন? হলে কিভাবে সারাবেন রইল সহজ কিছু টিপস
এটি শুধুমাত্র একটি বিশাল পরিবার গঠনের কাহিনী নয়, বরং এটি রাশিয়ার ঐতিহ্য, সময়ের সামাজিক এবং ধর্মীয় প্রথার একটি বিশেষ দৃষ্টান্ত। ভ্যালেন্টিনার জীবনের ঘটনা প্রমাণ করে যে, সে সময়ের মহিলারা সামাজিক বাধ্যবাধকতা ও প্রথার কারণে কীভাবে সন্তান ধারণ করতে বাধ্য হতেন। আজকের দিনে, যখন জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন এরকম কাহিনীগুলি অতীতের এক ভিন্ন সমাজের চিত্র তুলে ধরে।
তবে, ভ্যালেন্টিনার জীবন কেবলমাত্র সংখ্যা ও পরিসংখ্যানের খাতা থেকে বেরিয়ে আসা এক গল্প নয়। এটি ছিল সে সময়ের সমাজের এক দৃষ্টান্ত, যেখানে সমাজের চাপ, ধর্মীয় কর্তব্য, এবং পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালনের প্রতি এক অদ্ভুত সমর্পণ ছিল। এই পরিবারের ইতিহাস আজও এক বিস্ময়, এবং এটি মানুষকে ভাবতে বাধ্য করে, কিভাবে অতীতের সামাজিক চাহিদাগুলি এবং প্রথাগুলি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছিল।আজও ভ্যালেন্টিনা ভ্যাসিলিয়েভের সন্তান জন্মদানের কাহিনী পৃথিবীজুড়ে আলোচিত, এবং তিনি এক অনন্য ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন।