ব্যুরো নিউজ,১০ মার্চ: গত বছরে বাংলাদেশে হয় পালাবদল, তারপর দেশজুড়ে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে অনেকটাই সঙ্গীন হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো চূড়ান্ত পতনের দিকে ধাবিত হয়েছিল যখন বিদেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দেশের জিডিপির একটি বড় অংশ, প্রায় ৬ থেকে ৭ শতাংশ, নির্ভর করে এই রেমিট্যান্সের উপর। বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন এই অর্থ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন দেশের অর্থনীতি সংকটে পড়ে। এক সময় পালাবদলের সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করেছিল, কিন্তু বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, এবং প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আবার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি
ডিক্যাফিনেটেড কফি খান হবে না শরীরের কোন ক্ষতি, কিভাবে বানাবেন জেনে নিন
বাংলাদেশের অর্থনীতির বেশিরভাগই শিল্পের উপর নির্ভরশীল, বিশেষত বস্ত্র শিল্প। এই শিল্প দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং পালাবদলের কারণে বস্ত্র শিল্পেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। একাধিক মাসের জন্য রপ্তানি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়, যার ফলে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বস্ত্র শিল্পের মুনাফা প্রায় ৩ থেকে ৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
আইসক্রিম মুখে দিতেই অবাক কান্ড!আইসক্রিমের মধ্যে আটকে রয়েছে একটি সাপ
তবে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। গত বছরেই সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে অর্থ পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে। এই টাকা দেশের অর্থনীতির উন্নতির দিকে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে। মার্চ মাসের প্রথম ৮ দিনে, প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পৌঁছেছে, যা একাধিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক দ্বারা ইতিবাচক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনও কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। দেশের রপ্তানি শিল্পে, বিশেষত বস্ত্র শিল্পে, কিছুটা ঘাটতি থাকলেও, রেমিট্যান্সের প্রবাহ বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করছে। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, যদি এই প্রবাহ অব্যাহত থাকে, তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবার শক্তিশালী হতে পারে এবং আগামী কয়েক বছরে এটি পুনরুদ্ধারের পথ অনুসরণ করবে।