ব্যুরো নিউজ,৪ ফেব্রুয়ারি:বসন্ত এসে গিয়েছে, চারদিকে ফুটছে নানা রঙের ফুল। শিমুল, পলাশ, বুগেনভিলিয়া, নীলমণি লতা, কসমস— সবই জানান দিচ্ছে যে প্রকৃতি নবজীবন পেয়েছে। পাতাহীন শিমুল-পলাশের আগুনরঙা রূপ চোখে পড়ছে রাস্তার ধারে, আবার বাগানেও ফুটেছে রঙিন বুগেনভিলিয়া।
বোগেন ভ্যালিয়া কাটিং থেকে নতুন গাছ তৈরির সহজ পদ্ধতি রইল গাছ প্রেমীদের জন্য
ফুলে ভরে উঠেছে প্রকৃতি
বসন্তে বুগেনভিলিয়া গাছ ভরে ওঠে লাল, বেগুনি, সাদা, হলুদ ও কমলা রঙের ফুলে। তবে বেশি জল দিলে পাতাই বাড়বে, ফুল আসবে কম। তাই মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দেওয়া উচিত। এ সময় বাড়ির পাঁচিলে নীলমণি লতা বা ভেনেস্তা লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে।গোলাপি, সাদা ও লাল মুসান্ডা মার্চ-এপ্রিলে দারুণভাবে ফুটে ওঠে। বাগানের এক কোণে বেগুনি ও সাদা কসমস ফুলও বেশ নজরকাড়া। আর শিমুল, পলাশ, মান্দার ফুলের লাল-কমলা ছোঁয়া দেখতে অনেকেই পুরুলিয়া, ঝাড়খণ্ড, বীরভূমের পথে পা বাড়ান। তবে এখন নার্সারিতেও হলুদ পলাশের চারা পাওয়া যাচ্ছে, যা একসময় বিরল ছিল।
লেবু ও আম গাছের যত্ন
এ সময় প্রায় সব ধরনের লেবু গাছে ফুল আসে। তবে জল ও সার ঠিকমতো না দিলে ফুল ঝরে যেতে পারে। আম গাছেও মুকুল আসে, বিশেষ করে কলমের গাছ হলে চড়া রোদ থেকে মুকুল রক্ষা করতে বিকেলে জল স্প্রে করা দরকার।
নতুন গাছের প্রস্তুতি ও টবের যত্ন
গরমের তেজ বাড়ছে, তাই শুকিয়ে যাওয়া শীতের ফুলগাছ ফেলে দিয়ে নতুন চারার জন্য বাগান তৈরি করা দরকার। গ্রীষ্ম ও বর্ষার কথা মাথায় রেখে সূর্যমুখী, দোপাটি, কলাবতী, বোতাম ফুল, জারবেরা, লিলি, গন্ধরাজ, জবা, বেলি, রঙ্গন, কাঠগোলাপ ইত্যাদি লাগানো যেতে পারে।পুরনো টবের মাটি চেলে রোদে শুকিয়ে তাতে কোকোপিট, পুরনো গোবর সার, নিমখোল, শিং কুচি ও হাড়গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে, যাতে মাটি আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে।
ছাদ বাগানে কমলালেবু চাষ করুন, ফলে ভরবে গাছঃ রইল সহজ কিছু টিপস
গাছের রি-পটিং ও সার প্রয়োগ
জবা, টগর, অ্যাডেনিয়াম, অপরাজিতা, কাঠগোলাপের মতো গাছ বসন্তে নতুন জীবন পায়। তাই মাটি পাল্টানো, সার দেওয়া এবং ছাঁটাই করা দরকার। শিকড় বেরিয়ে এলে টব বদলানো প্রয়োজন। টবের নিচে পাথর ও বালি দিয়ে ড্রেনেজের ব্যবস্থা রাখতে হবে।এ সময় কচি পাতায় পোকা আক্রমণ করতে পারে। তাই জৈব কীটনাশক স্প্রে করা ভালো। বসন্তের ঠিক যত্নেই গাছ হয়ে উঠবে আরও সবুজ ও ফুলে ভরা।