ব্যুরো নিউজ,২৮ ফেব্রুয়ারি : আজকাল ‘নো সুগার’ ডায়েটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, কিন্তু মিষ্টি স্বাদের প্রতি ভালোবাসা তো কমেনি। তাই অনেকে খেজুরকে পছন্দ করেন, কারণ এটি শরীরে শক্তি যোগাতে সহায়তা করে এবং তাতে থাকে মিষ্টি স্বাদও। খেজুর খেলে শরীরের সাথে সাথে মনও থাকে চনমনে। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
মঙ্গল ও বুধের অবস্থান পরিবর্তনঃ এই ৩ রাশির জাতক জাতিকারা লাভের মুখ দেখতে চলেছেন
খেজুরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম শরীরের জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরে শক্তির জোগান দেয় এবং বিভিন্ন নার্ভ সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। খেজুরের প্রচুর ক্যালসিয়াম দাঁত এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন কে, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড হাড়ের শক্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষত অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা প্রতিরোধে খেজুর সাহায্য করে।
হাতের শক্তি বাড়ানোর সহজ আসন বকাসন, নিয়মিত অভ্যাস করুন ফল মিলবে
খেজুর খাবার পর যদি কোনো সময় সুইট ক্রেভিং হয়, তবে আপনি এক বা দুটি খেজুর খেয়ে সেই ক্রেভিং মেটাতে পারেন। আরও ভালো উপকার পেতে খেজুরকে অন্য কিছু খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন, সকালের ব্রেকফাস্টে ওটস, স্মুদি, দুধের সঙ্গে মুসলি বা কর্নফ্লেক্সে খেজুর মিশিয়ে খেলে তা শরীরের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং চনমনে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও খেজুরের সঙ্গে কাঠবাদাম এবং ডার্ক চকোলেট খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল রাখতে সাহায্য করে এবং অনিদ্রা দূর করে।
শরীরের ‘ডিটক্স’ প্রক্রিয়া উন্নত করার সহজ ও কার্যকরী উপায় এই আসন
ডার্ক চকোলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। কাঠবাদাম, খেজুর এবং একটু মধু মিশিয়ে খেলে আরো বেশি পুষ্টি লাভ করা যায়। এর ফলে শরীরের শক্তি বাড়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।তবে খেয়াল রাখতে হবে, খেজুর খুবই মিষ্টি হওয়ায় অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এক দিনেই মুঠো মুঠো খেজুর খেলে তা শরীরে অপকারে পরিণত হতে পারে। বিশেষ করে রক্তে শর্করা বৃদ্ধি পেতে পারে। এক দিনে তিনটি খেজুর খাওয়া যথেষ্ট।