ব্যুরো নিউজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি :প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে পালন করা হয়, যা ভারতের বিজ্ঞানী সি.ভি. রামনের বিজ্ঞান ক্ষেত্রে অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অনুষ্ঠিত হয়। সি.ভি. রামন, যিনি একটি ছোট গ্রাম থেকে উঠে এসে নোবেল পুরস্কার ও ভারতরত্ন পুরস্কারে ভূষিত হন, তার অবদান আজও স্মরণ করা হয়। আলো এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তার অভূতপূর্ব কাজ ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
২০২৫ সালের রমজান মাস শুরু কবে থেকে? জানুন
১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার
রামন তার গবেষণায় আলো বিক্ষিপ্তকরণের ঘটনা (Raman Effect) এবং সাগরের রঙের মতো বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন, যা বিজ্ঞানী হিসেবে তার নাম ইতিহাসে চিরকাল স্থায়ী করেছে।কিন্তু কেন ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়? সি.ভি. রামনের জন্মদিন ৭ নভেম্বর হলেও, ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি রামান প্রভাবের (Raman Effect) আবিষ্কার ঘোষণা করেন, যা তাকে ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করতে সাহায্য করে।
১৯৮৬ সালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যোগাযোগ পরিষদ (NCSTC) কেন্দ্র সরকারের কাছে ২৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে ঘোষণা করার আবেদন জানায়। এরপর ১৯৮৭ সালে প্রথমবারের মতো এই দিনটি উদযাপন করা হয়।এ বছরের জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম হচ্ছে “ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে বৈজ্ঞানিক নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনে ভারতীয় যুবককে শক্তিশালী করা।” এই বছর, সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে দিল্লির বিজ্ঞান ভবন (Vigyan Bhawan) এর প্লেনারি হলে।
জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো যুবকদের মধ্যে বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ তৈরি করা এবং তাদেরকে বিজ্ঞান বিষয়ে বুঝতে সহায়তা করা। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ক গুরুত্ব এবং এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়।এদিন বিভিন্ন বিজ্ঞানী, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা একত্রিত হন এবং তারা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করে। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে আরো উৎসাহিত করা হয়, যাতে তারা ভবিষ্যতে আরো বড় সাফল্য অর্জন করতে পারে এবং বিশ্বের বিজ্ঞানক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা আরও দৃঢ় করতে পারে।