শ্রমিক সংগঠনের মিছিলে পরিষেবা ব্যাহত

ব্যুরো নিউজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি :বৃহস্পতিবার সিটু (ভারতীয় সেন্টার অফ ট্রেড ইউনিয়ন)-র নেতৃত্বে এক বাম শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে অ্যাপ-ক্যাব চালকরা পরিষেবা বন্ধ রেখে মিছিল করেন। তাদের এই কর্মসূচির প্রভাব পড়ে শহরের বাইক-ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব পরিষেবার ওপর, ফলে দীর্ঘ সময় ধরে সেগুলির পরিষেবা ছিল বিঘ্নিত। সিটু-র আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিল আর এক বাম সংগঠন এআইটিইউসি (আল ইনডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস)-র ক্যাব চালক সংগঠনও।

ট্যাংরা-কাণ্ডের নাবালকের ইচ্ছা কাকিমার বাবা-মায়ের কাছে থাকার 

সমস্যার মুখে

এই দুটি সংগঠনের আহ্বানে সকালের দিকে অনেক যাত্রী ক্যাব ভাড়া করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকায় যাত্রীদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিতে হয়েছে।বাম সংগঠনগুলির অভিযোগ, পরিবহণ দফতর ৩১ মার্চের মধ্যে বাইক ও ট্যাক্সির জন্য হলুদ নম্বর প্লেট বাধ্যতামূলক করতে চলেছে। কিন্তু অনেক বাইক চালক এখনও এই নম্বর প্লেট পেতে পারেননি, ফলে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যারা ঋণ নিয়ে বাইক কিনেছেন, তাদের জন্য নম্বর প্লেট বদলানোর প্রক্রিয়া জটিল হয়ে উঠেছে। এছাড়া, বেসরকারি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি যাত্রী টানতে খুব কম ভাড়ায় বুকিং নিচ্ছে, যার ফলে চালকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শনির অস্ত যাওয়ার দিন, তিনটি রাশিতে আসতে পারে বড় পরিবর্তন

এই প্রতিযোগিতার কারণে চালকদের আয় কমে গেছে এবং পরিষেবা প্রদানও ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে, সরকারি অ্যাপ ‘যাত্রী সাথী’-র মাধ্যমে চালকদের পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।সিটু-র নেতারা দাবি করেছেন, সমস্যাগুলির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, সিটু-র সভাপতি, বলেন, “অনেক বার সমস্যার কথা জানানো হলেও কোনও সমাধান মিলছে না। তাই বাধ্য হয়েই চালকরা পরিষেবা বন্ধ রেখে প্রতিবাদে নেমেছেন।” তারা সরকারের কাছে এই সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানের দাবি তুলেছেন।

শহরে সিএনজি পাম্পের অভাবের কারণে চালকরা জ্বালানি ভরতে সমস্যা অনুভব করছেন। সিএনজি ব্যবহার করলে পেট্রল তুলনায় অনেক সাশ্রয় হয়, কিন্তু অনেক চালক সেই সুবিধা নিতে পারছেন না। এআইটিইউসি-র পরিবহণ কর্মী সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেছেন, “অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার কিছু বিধি প্রকাশ করেছিল, কিন্তু সেগুলি কার্যকর করা হয়নি। এখন সেগুলিকে কঠোরভাবে বাস্তবায়িত করা উচিত।”অন্যদিকে, শাসকদল ঘনিষ্ঠ সংগঠন ‘অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’ ক্যাব পরিষেবার কিলোমিটার-প্রতি ভাড়া বেঁধে দেওয়ার জন্য সরকারি হস্তক্ষেপ চেয়েছে। যদিও তারা পরিষেবা বন্ধ রাখার প্রতিবাদ করেছে, তবুও তাদের দাবি, এই সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর