ব্যুরো নিউজ,২৬ ফেব্রুয়ারি :ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন ডায়েট অনেকের কাছে জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান, যা পেশি গঠন, বিপাক হার বৃদ্ধি এবং শারীরিক শক্তি অর্জনে সহায়ক। প্রোটিন শরীরের হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা শুধুমাত্র ওজন কমাতে নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। তবে, অনেকেরই ধারণা নেই যে কতটুকু এবং কীভাবে প্রোটিন খেতে হবে। এর ফলে অনেকেই ভুল পদ্ধতিতে ডায়েট করেন, এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় না। আজ জানবো কিছু সাধারণ ভুল, যেগুলি এড়িয়ে চললে আপনার ডায়েট আরও কার্যকর হতে পারে।
ঘরের এই জিনিসগুলি বাধা দেয় আর্থিক উন্নতির, সুতরাং সরিয়ে ফেলুন এক্ষুনি
১. প্রাতঃরাশে প্রোটিনের অভাব
প্রাতঃরাশে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেকেই জলখাবারে চিঁড়ে পোলাও, রুটি-তরকারি বা স্যান্ডউইচ খেয়ে থাকে। এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর হলেও, এদের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ যথেষ্ট নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে প্রথম খাবারে অন্তত ২০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিরামিষাশীদের জন্য ইডলি, চিলা বা অঙ্কুরিত মুগ হতে পারে ভালো অপশন। অন্যদিকে, যারা মাংস খান, তাদের জন্য সেদ্ধ ডিম বা মুরগির মাংসের স্যান্ডউইচ হতে পারে ভালো প্রোটিন উৎস।
২. উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার
অনেক খাবার যেমন পনির বা চিজ়ে প্রোটিনের পাশাপাশি প্রচুর ক্যালোরিও থাকে। তবে, কেবল প্রোটিন খেলে ওজন কমানো সম্ভব নয়, ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণও জরুরি। অতিরিক্ত ক্যালোরি খেলে, যদিও প্রোটিন বেশি খাচ্ছেন, তাও মেদ কমানো যাবে না। তাই, খাবারের পরিমাণ এবং ক্যালোরির দিকেও নজর রাখতে হবে।
৩. প্রোটিন খেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওজন কমবে এমন ধারণা
অনেকের ধারণা থাকে যে, প্রোটিন বেশি খেলে সরাসরি ওজন কমে যাবে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলেন, ওজন কমাতে হলে শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করতে হবে। সাধারণভাবে, প্রতিদিন ৩০০-৫০০ ক্যালোরি কম খেলে ওজন কমানো সম্ভব। তাই, কেবল প্রোটিন খেয়ে ক্যালোরির প্রতি খেয়াল না রাখলে, কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে না।
মুখের দুর্গন্ধ থেকে অপুষ্টি সবটাই দূর হবে রান্নাঘরের এই তিন মসলায়
৪. প্রোটিন শেকের অতিরিক্ত ব্যবহার
বর্তমানে প্রোটিন শেক বা পাউডার খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। যদিও এগুলি প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে, কিন্তু এর মাধ্যমে পুরো প্রোটিন প্রয়োজন মেটানো সম্ভব নয়। পুষ্টিবিদরা বলেন, শরীরের উচ্চতা, ওজন, বয়স এবং শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে প্রোটিনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এক গ্লাস প্রোটিন শেকে ১৫-৩০ গ্রাম প্রোটিন থাকে, তবে দিনভর শরীরের আরও বেশি প্রোটিনের প্রয়োজন।
৫. উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের গুরুত্ব
যারা নিরামিষাশী বা ভেগান, তাদের প্রোটিনের দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যেমন বাদাম, ডাল, দানাশস্য খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রোটিনের অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, তাই নিরামিষাশীদের জন্য প্রোটিনের সঠিক পরিমাণ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রোটিন ওজন কমাতে সাহায্য করে, তবে সঠিক পরিমাণে এবং সঠিকভাবে প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। কেবল প্রোটিন খেয়ে নয়, ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ এবং পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন কমানো সম্ভব।