ব্যুরো নিউজ,২৩ ফেব্রুয়ারি :ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য আমেরিকার দেওয়া ১৮২ কোটি টাকার (২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার) অনুদান নিয়ে বিতর্ক থামছে না। প্রায় প্রতিদিনই এই বিষয়ে মন্তব্য করছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি দাবি করেছেন, ভারতকে এই অর্থ সহায়তার কোনো প্রয়োজন নেই, বরং ভারতকেই এখন আমেরিকাকে সাহায্য করা উচিত। তার এই মন্তব্যের পর আমেরিকার অনুদান নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় কি কি টিকা নেবেন জেনে নিন। রইল ডাক্তারদের পরামর্শ
অনুদান বাতিল?
গত রবিবার আমেরিকা ভারতের ১৮২ কোটি টাকার অনুদান বাতিল করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই অনুদান আসত ভারতে ভোটের হার বাড়ানোর জন্য। ট্রাম্পের মতে, ভারতকে এ ধরনের সাহায্য দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। শনিবার একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “ভারতকে তাদের নির্বাচনের জন্য আমরা এত টাকা কেন দেব? বরং তারা আমাদের সাহায্য করুক। ভারতের কোনো টাকার প্রয়োজন নেই।” তিনি আরো বলেন, “ভারত আমাদের থেকে প্রচুর সুযোগসুবিধা নেয়। ওদের করের পরিমাণ অনেক বেশি। আমরা সেখানে কিছু বিক্রি করতে চাইলে ২০০ শতাংশ কর নেওয়া হয়। আর আমরা তাদের ভোটের জন্য টাকা পাঠাচ্ছি? কেন?”
এছাড়া, ট্রাম্প আরও বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ২.১০ কোটি ডলার যাচ্ছে ভোটের হার বাড়ানোর জন্য! কিন্তু কেন আমরা এই টাকা ভারতকে দেব? আমাদেরও তো ভোটের হার বাড়ানোর জন্য টাকা দরকার।” এই মন্তব্যের পর, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে, যা আমাদের নজরে এসেছে। এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।”
এছাড়া, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন, যা উদ্বেগজনক। ইউএসএইড নিয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই। ওই সংস্থা ভারতে কাজ করার অনুমতি পেয়েছিল এবং সেসব কাজ সরল বিশ্বাসে হয়েছিল। এখন যে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যদি তা সত্যি হয়, তবে দেশের জনগণকে জানানো উচিত যে, কারা এতে জড়িত।” এদিকে, শুধু ভারত নয়, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের ২৫২ কোটি টাকার (২ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার) অনুদানও বাতিল করেছে এবং একইভাবে এটাকেও অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।এই বিতর্কটি সামনে আসার পর থেকেই আমেরিকার অনুদান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে, আর ট্রাম্পের ধারাবাহিক মন্তব্য এই আলোচনাকে আরও উত্তপ্ত করেছে।