ব্যুরো নিউজ,১৭ ফেব্রুয়ারি :কাশী তামিল সংগমম ২০২৫ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এই সংগমম উপলক্ষে তিনি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং বলেন, “কাশী এবং তামিলনাড়ুর সংস্কৃতি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “তামিলনাড়ুর প্রতিটি মন্দিরে শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মহাদেবের মূর্তি রয়েছে।”ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “সংস্কৃত এবং তামিল ভাষা দেশের সবচেয়ে পুরনো ভাষাগুলোর মধ্যে পড়ে এবং এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐক্যের সবচেয়ে বড় উদাহরণ।”
শুক্রের উদয় ও অস্তের প্রভাবে কীভাবে প্রভাবিত হবে আপনার রাশি? জানুন
এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত
তিনি আরও জানান, এই বছর প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় বাজেটে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) গ্রন্থ সংরক্ষণ করবে। এটি দেশের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক গ্রন্থগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।মন্ত্রী মহাকুম্ভ মেলা প্রসঙ্গে বলেন, “তামিলনাড়ু থেকে আসা অতিথিরা ১৪৪ বছর পর প্রযাগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ মেলা দেখতে পাবেন। এটি তাদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা হবে।” তিনি আরও বলেন, এবারের মহাকুম্ভ মেলা শুধু ভারতের মানুষের জন্য নয়, সারা বিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে নতুন শক্তি ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। এখন পর্যন্ত ৫১ কোটিরও বেশি মানুষ মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করেছেন।ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, “তামিলনাড়ু থেকে আসা অতিথিরা শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, মহাকুম্ভ মেলা এবং অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শন করার সুযোগ পাবেন।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যোগ করেন, “মহাকুম্ভ মেলার সফল আয়োজনের জন্য আমরা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানাই।”
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার এবং সংসদীয় কাজের মন্ত্রী ড. এল. মুরুগন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিদের স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।” কাশীকে তিনি ‘মোক্ষের নগরী’ হিসেবে অভিহিত করেন।এই বিশেষ অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনও করা হয়েছিল, যেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিল্পীরা তাদের সংস্কৃতি প্রদর্শন করেন।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল এবার বিহার
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজমন্ত্রী রবিন্দ্র জয়সওয়াল, রাজমন্ত্রী ড. দয়াশঙ্কর মিশ্র, জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান পূনম মোর্য, মেয়র অশোক তিওয়ারি, বিধায়ক ড. নীলকান্ত তিওয়ারি, ড. আবদেশ সিং, সোরভ শ্রীবাস্তব, ড. সুনীল প্যাটেল, এমএলসি হান্সরাজ বিশ্বকর্মা, এমএলসি ধর্মেন্দ্র রায়, অশ্বিনী ত্যাগী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সচিব বিনীত জোশী, মণ্ডল কমিশনার কৌশল রাজ শর্মা, পুলিশ কমিশনার মোহিত আগরওয়াল, জেলা প্রশাসক এস রাজলিংম, সিডিও হিমাংশু নাগপাল, পুলিশ উপ কমিশনার এস চানাপ্পা এবং কাজকর্মী উপাচার্য বি.এইচ.ইউ ড. সঞ্জয় কুমার প্রমুখ।