ব্যুরো নিউজ,১৩ ফেব্রুয়ারি:শীতের মরসুম হলেও, এবার রাজ্যে শীতের প্রকোপ খুব একটা অনুভূত হয়নি। একদিকে শীতের আমেজ আগেই উধাও, অন্যদিকে মাঘ মাসের শুরু থেকেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি ছিল। যাই হোক, মাঘ মাসের শেষ লগ্নে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা। তবে, তাতে জাঁকিয়ে শীত অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
PM Modi-র US সফরঃ শেয়ার বাজারের অস্থিরতা নিয়ে কি কথা বলবেন মোদী?
কুয়াশার পরিস্থিতি
কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বুধবার ছিল ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.১ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার শহরের দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.২ ডিগ্রি বেশি। আগামী দু’দিনে রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, তবে তা খুব একটা বেশি কমবে না। এর পরের দু’দিনে আবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।দার্জিলিঙে বৃহস্পতিবার তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা শীতপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে। জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙ ও দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, কুয়াশার পরিস্থিতি বেশি থাকবে।
বিশেষ করে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ঘন কুয়াশা হওয়ার কারণে সকালের দিকে দৃশ্যমানতা ১৯৯ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত কমে যেতে পারে। কুয়াশার কারণে সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।দক্ষিণবঙ্গের ৪টি জেলা— উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়া—এগুলোতেও ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। এর ফলে সকালবেলা যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে। তাই, এই অঞ্চলগুলির বাসিন্দাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে, দক্ষিণের অন্যান্য জেলাগুলিতে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
অবসর পরবর্তী জীবনে কাজ করার প্রতি আগ্রহের সমীক্ষা অবাক করেছে গবেষকদেরও
আবহাওয়া দফতরের মতে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। এই কারণে কুয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে এবং তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও, পরবর্তীতে তা আবার বাড়বে। আপাতত শীতের শেষ লগ্নে রাজ্যের আবহাওয়া বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দিতে পারে, তবে এর সঙ্গে থাকবে কুয়াশা, বৃষ্টি ও তুষারপাতের আকর্ষণীয় দিক।