ব্যুরো নিউজ,১০ ফেব্রুয়ারি :শতরান করার পরও অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস বা উদ্দীপনা প্রকাশ করেননি রোহিত শর্মা। একমাত্র দর্শকদের দিকে ব্যাট তুলে অভিবাদন গ্রহণ করে তিনি দ্রুত ফিরে গিয়েছিলেন। আউট হওয়ার পরেও একটুও ক্ষুব্ধ হননি, আর ম্যাচ শেষে তাঁর স্বাভাবিক আচরণ দেখে কেউই ধারণা করতে পারবে না যে, দীর্ঘ দিন পরে তিনি রান খুঁজে পেয়েছেন। কটকে সিরিজ জয় করার পর রোহিতের এমন দৃঢ় মনোভাব দেখে বোঝা যায় যে, রান না পাওয়া নিয়ে তাঁর মধ্যে কোনো দুশ্চিন্তা ছিল না।
শুল্কের মাধ্যমে আমেরিকা কি তার পড়শিদের আরও বিপাকে ফেলতে চাইছে?
রোহিত কি বলেন?
সঞ্চালক দীপ দাশগুপ্তের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রোহিত বলেন, “ক্রিজে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে দলের জন্য রান করতে পেরে ভাল লাগছে। সিরিজ জয়ের আশায় থাকা এই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”রোহিত নিজের সাফল্যের কারণ ব্যাখ্যা করতে ভুলে যাননি। তিনি বলেন, “ব্যাটিংয়ের পরিকল্পনা আমি কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছিলাম। টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের তুলনায় এই ফরম্যাটটি একেবারে আলাদা, তবে পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট করতে হবে। আমার লক্ষ্য ছিল মনোযোগ ধরে রেখে যতটা সম্ভব বেশি সময় ক্রিজে থাকা।”
কালো মাটির পিচে ব্যাট করা যে সহজ ছিল না, তা মেনেছেন রোহিত। এই ধরনের পিচে বল মাঝেমাঝে পিছলে যায়, তাই শট খেলতে সতর্ক থাকতে হয়। তিনি জানান, “শটের জন্য সঠিক জায়গা বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষ চাইছিল আমার শরীর লক্ষ্য করে বল করতে, তবে আমি তাদের পরিকল্পনা বুঝে শট খেলার চেষ্টা করেছি। আমি সফল হয়েছি।”ভারতের ওপেনিং জুটি যে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন রোহিত। সহ-ওপেনার শুভমন গিলের প্রশংসা করে রোহিত বলেন, “আমরা একে অপরের সঙ্গে ব্যাট করা উপভোগ করি। গিল দুর্দান্ত ক্রিকেটার। সে কোনও পরিস্থিতিতেই চাপে পড়ে না।”
ঋতুবন্ধের পর মহিলাদের শারীরিক যত্নঃ সুস্থ জীবনযাপনের টিপস
মাঝের ওভারগুলোর গুরুত্বও তিনি নিশ্চিত করেছেন। রোহিত বলেন, “এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাঝের ওভারে রান কম রাখতে পারলে শেষের দিকে সমস্যা হয় না। নাগপুরের পর কটকেও আমরা এই কাজটা ভালোভাবে করেছি।”চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এই সিরিজ জয়ের যে আত্মবিশ্বাস জোগাবে, তা নিশ্চিত করেছেন রোহিত। তাঁর কথায়, “দল হিসেবে আমরা প্রতিদিন উন্নতি করতে চাই। অধিনায়ক বা কোচ কী চান, সেটা যদি দলের ক্রিকেটাররা বুঝে, তাহলে চিন্তা করার কিছু নেই।”