ব্যুরো নিউজ,১০ ফেব্রুয়ারি :আরেকটি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে, যেখানে প্রতারণার শিকার হয়েছে প্রায় সওয়া লক্ষ গ্রাহক। টরেস জুয়েলার্স নামে এক গহনা সংস্থা তাদের গ্রাহকদের থেকে হাজার হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। সংস্থাটি বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করেছিল, যেখানে গ্রাহকদের একাধিক সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু শেষমেশ তা ছিল একটি বড় ধোঁকাবাজি।সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, গ্রাহকদের বিনিয়োগ করলে তারা বিপুল পরিমাণ লাভ পাবেন। বিশেষ করে ময়সানাইট পাথরে বিনিয়োগ করলে ৬ শতাংশ সাপ্তাহিক ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিল।
কুম্ভ সংক্রান্তিতে কী কী দান করা উচিত এবং কী কী দান করা উচিত নয়?
গ্রাহকদের আশা
কিন্তু পরে জানা যায়, যেসব ময়সানাইট পাথর দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল সম্পূর্ণ নকল। এমনকি, গ্রাহকদের দেওয়া দুলও ছিল ভুয়ো। তবে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, এটি শুধুমাত্র একটি ‘টোকেন’ বা স্মৃতিস্বরূপ উপহার ছিল।এরপর, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। শুরুতে গ্রাহকরা আশা করেছিলেন যে, সংস্থা তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ ফেরত দেবে, কিন্তু একসময় তারা জানতে পারেন যে টরেস জুয়েলার্স তাদের সঙ্গে আর কোনও লেনদেন করবে না।
পুলিশ তদন্ত শুরু করলে, জানা যায় যে, টরেস জুয়েলার্সের প্রধান সিইও তৌসিফ রেয়াজ এবং তার সহকারী অভিষেক গুপ্ত এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন। এরই মধ্যে সংস্থাটি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে, এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এদিকে, গ্রাহকদের মধ্যে অধিকাংশই নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির সদস্য, যারা বড় লাভের আশায় হাজার হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এমনকি কিছু বিত্তশালী গ্রাহক এক কোটি টাকাও বিনিয়োগ করেছিলেন।পুলিশ তদন্তে জানায় যে, এই কেলেঙ্কারির মূল পরিকল্পনা ছিল ইউক্রেনীয় নাগরিক জন কার্টার এবং ভিক্টোরিয়া কোওয়ালেঙ্কোর।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন ব্রিটিশ ক্রিকেটার জেকব বেথেল!
তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হয়েছে।এখন, তদন্ত করছে অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা এবং তাদের অভিযোগে মোট ১১ হাজার গ্রাহক প্রতারণার শিকার হয়েছেন, যারা collectively শতাধিক কোটি টাকা হারিয়েছেন। পুলিশ তৌসিফকে গ্রেফতার করলেও, সে দাবি করে যে, সে ‘টরেস জুয়েলারি’র সিইও নয় এবং ইউক্রেনীয়দের ফাঁসানো হচ্ছে। তবে, তদন্তকারীরা মনে করেন যে তৌসিফই আসলে পুরো কেলেঙ্কারির মূল দোষী।