ব্যুরো নিউজ,২৯ জানুয়ারি :হার্ট অ্যাটাক মানেই আতঙ্ক, কিন্তু আজকাল হৃদ্রোগের ঝুঁকি কেবল পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। মহিলারাও ক্রমশ এই সমস্যার শিকার হচ্ছেন। সময়মতো সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন না করলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, মহিলাদের মধ্যে হৃদ্রোগের হার বাড়ার মূল কারণগুলির মধ্যে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, পুষ্টিহীন খাদ্য, এবং ঋতুবন্ধ পরবর্তী পরিবর্তনগুলোও একটি বড় কারণ।
আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার হলেন জসপ্রীত বুমরাহ, টেস্ট ক্রিকেটেও সেরা
কি কি কারণ?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এবং ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার কারণে মহিলাদের মধ্যে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ঋতুবন্ধের পর শরীরের বিশেষ যত্ন নিতে না পারার কারণে হৃদ্রোগের সমস্যা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এই সমস্যা বাড়ানোর পিছনে রয়েছে ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন এবং জীবনযাপনে অসংযম। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ভারতে ৪০ শতাংশ মহিলার মৃত্যুর কারণ হৃদ্রোগ।
চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানিয়েছেন, ভারতে প্রায় ৪ কোটি মহিলা স্থূলত্বের শিকার। এই স্থূলত্ব পরবর্তীতে উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবিটিসের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া, রক্তে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের উচ্চতা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন এবং হরমোনের তারতম্যও হৃদ্রোগের কারণ হতে পারে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, মহিলারা কীভাবে জানবেন যে তারা হৃদ্রোগের ঝুঁকিতে আছেন? চিকিৎসকরা কিছু লক্ষণ তুলে ধরছেন, যা দেখে দ্রুত সচেতন হওয়া জরুরি:
আইসিসির সিইও পদ ছাড়লেন জিওফ অ্যালার্ডিস, নতুন চ্যালেঞ্জের দিকে তাকিয়ে
১. যদি বাঁ কাঁধ ও হাতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, তা আর্থ্রাইটিসের কারণে না-ও হতে পারে। একটানা ব্যথা থাকলে সতর্ক হওয়া দরকার।
২. ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট বা অল্পতেই ক্লান্তি অনুভব করা, বুক ধড়ফড় করা, এগুলি হৃদ্রোগের সংকেত হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বিশেষ করে রাতে শুয়ে অতিরিক্ত ঘাম হলে, তা হৃদ্রোগের পূর্বলক্ষণ হতে পারে।
৪. ঠান্ডা না লাগলেও যদি প্রচণ্ড কাশি এবং কফের সঙ্গে রক্ত বের হয়, তবে তা হৃদ্রোগের সংকেত হতে পারে।
৫. প্রতি দিন মাথা যন্ত্রণায় ভুগলে, তা মাইগ্রেন না-ও হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৬. মাঝে মাঝে যদি জ্ঞান হারান, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ইসিজি বা চেস্ট এক্স-রে করানো উচিত।
৭. হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হলে, নাড়ির গতি ওঠানামা করলে, দমবন্ধ হয়ে আসলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা করানো উচিত।
এগুলো সবই এমন লক্ষণ, যা হার্ট অ্যাটাকের আগে হতে পারে এবং যথাযথ চিকিৎসা না হলে গুরুতর হতে পারে। তাই, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি এই লক্ষণগুলির প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।