ব্যুরো নিউজ,২৮ জানুয়ারি :বিশ্ব বাজারে সম্প্রতি এক বিশাল ধাক্কা লেগেছে, যার পেছনে রয়েছে চিনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংস্থা ডিপসিক। এই সংস্থার ডিপসিক-আর১ মডেলটি এক ধরনের চমক সৃষ্টি করেছে, যা আমেরিকার শেয়ার বাজারে ব্যাপক পতন ঘটিয়েছে। ডিপসিকের প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে আমেরিকার ন্যাসডাক শেয়ার বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এর ফলস্বরূপ, প্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ার, বিশেষ করে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সংক্রান্ত সংস্থাগুলির, ব্যাপকভাবে কমেছে।
প্রতিবেদন কি বলছে?
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিপসিকের এআই প্রযুক্তি সংক্রান্ত চমক দেওয়ার কারণে বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র ন্যাসডাক নয়, টোকিও থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত নানা দেশের শেয়ার বাজারে পতন ঘটেছে। আমেরিকার শেয়ার বাজারে বিশেষভাবে প্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ার প্রায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত পতিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এনভিডিয়া, যা এআই চিপ নির্মাণে বিশ্বের প্রথম সারির সংস্থা, ১৫ শতাংশ পতনের সম্মুখীন হয়েছে। মাইক্রোসফট, গুগলের অ্যালফাবেট এবং ব্রডকমের শেয়ারও কমেছে ৩ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত।বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি বাজারে এই ধাক্কা যে তেমন বড় কিছু, তা বলে দেওয়া মুশকিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিপসিকের ঘোষণাগুলি যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে গত ১৮ মাসে বাজারে যে উত্থান দেখা গিয়েছিল, তা সম্পূর্ণভাবে তছনছ হয়ে যাবে। তারা জানাচ্ছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চেয়ে চিনের ভূমিকা আরও বড় আকারে বৃদ্ধি পাবে এবং তাতে আমেরিকার আধিপত্যে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ফলে প্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ার এখন পতনের মুখে।
ভারতীয় শেয়ার বাজারও এই পতনের বাইরে নেই। সোমবার, নিফটি ৫০ সূচক ১.১৪ শতাংশ (২৬৩.০৫ পয়েন্ট) কমে দাঁড়িয়েছে ২২,৮২৯.১৫ পয়েন্টে, এবং সেনসেক্স সূচক ১ শতাংশের বেশি পতন ঘটিয়ে ৭৫,৩৬৬.১৭ পয়েন্টে পৌঁছেছে।বিশ্বব্যাপী এই পরিস্থিতি এক বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সামনে নিয়ে এসেছে। ডিপসিকের প্রযুক্তি যদি ভবিষ্যতে বাস্তবে পরিণত হয়, তবে এই বাজারের ভূমিকায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলির ভবিষ্যৎ এবং তাদের বাজারমূল্য, এখন নির্ভর করছে এই চ্যালেঞ্জের উপরে।