ব্যুরো নিউজ,২৫ জানুয়ারি :একটি অদ্ভুত এবং নজিরবিহীন চিকিৎসা কেস সামনে এসেছে, যেখানে এক চিকিৎসককে তার রোগীর কাছ থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। এই ঘটনা প্রথমবার ১৯৯৬ সালে “The New England Journal of Medicine”-এ প্রকাশিত হয়েছিল এবং সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছে।ঘটনাটি ঘটেছিল ৫৩ বছর বয়সী এক সার্জনের ক্ষেত্রে, যিনি জার্মানিতে কাজ করতেন। তিনি একটি ৩২ বছর বয়সী রোগীর ওপেন সার্জারি করছিলেন।যেটি একটি বিরল ক্যান্সার, ম্যালিগন্যান্ট ফাইব্রাস হিসিওসাইটোমত। এটি সাধারণত নরম টিস্যুর ক্যান্সার হিসেবে পরিচিত, সেই ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
জানেন কি মাতৃত্বের পথচলায় মায়ের মস্তিষ্কে ঘটে আশ্চর্যজনক পরিবর্তন?
ড্রেন ইনসার্ট
অপারেশনের সময়, সার্জন তার হাত কেটে ফেলেন যখন তিনি ড্রেন ইনসার্ট করতে গিয়ে অসাবধানে আঘাত পান। দ্রুত আঘাতটি পরিষ্কার ও ব্যান্ডেজ করা হলেও, তার পরিণতি ছিল এক অদ্ভুত এবং বিপজ্জনক ঘটনা। পাঁচ মাস পর, ওই সার্জন লক্ষ্য করেন তার বাম হাতের মধ্যম আঙুলে একটি কঠিন, ১.২ ইঞ্চি সাইজের টিউমার মতো ফুলে উঠেছে। একটি বায়োপসি করার পর জানা যায় যে, টিউমারটি ম্যালিগন্যান্ট এবং রোগীর ক্যান্সারের সেলগুলির জিনগতভাবে চিহ্নিত। এর ফলে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন যে, রোগীর ক্যান্সার সেলগুলি সার্জনের ক্ষতস্থানে প্রবাহিত হয়ে তার শরীরে ক্যান্সারের সৃষ্টি করেছে।এটি ছিল একটি বিরল ঘটনা, যেহেতু সাধারণভাবে ক্যান্সারের সেল অন্যের শরীরে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত কম। সঠিক স্যানিটেশন এবং আধুনিক সার্জিকাল পদ্ধতিগুলির কারণে এই ধরনের সংক্রমণ ঘটে না। তবে, এই কেসটি অসুস্থতার বিরুদ্ধে শরীরের অপ্রতুল প্রতিরোধ ব্যবস্থার ফলে এই ক্যান্সার সেলগুলি বেড়ে গিয়েছিল।
ফোন ব্যাবহারে কীভাবে তৈরি হয় মানসিক চাপ এবং ভ্রমের সমস্যা? জানুন
ড. নীরজ গোয়েল, সি কে বিরলা হাসপাতালের অনকোলজি সার্ভিসেসের ডিরেক্টর, বলেন, “এটা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব যে একজন চিকিৎসক রোগীর কাছ থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত হতে পারেন, কিন্তু ঝুঁকি অত্যন্ত কম।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং স্টেরিলাইজেশন প্রটোকলের মাধ্যমে ক্যান্সারের সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য।যদিও ক্যান্সারের সংক্রমণ খুব বিরল, তবে অন্য কিছু ঘটনা যেমন, হাড়ের মজ্জার চিকিৎসা করার সময় লিউকেমিয়া সেলগুলির সংক্রমণ ঘটতে দেখা গেছে। তবে, কোনও সরাসরি সম্পর্ক প্রমাণ করা অত্যন্ত কঠিন।
