মহারাষ্ট্রে ট্রেন দুর্ঘটনা

ব্যুরো নিউজ,২৩ জানুয়ারি :মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার পাচোরা স্টেশনের কাছে একটি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে একে একে ট্রেন থেকে লাফ দিতে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু ঠিক তখনই বিপরীত দিক থেকে আসা কর্ণাটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলে আসে এবং একাধিক যাত্রী পিষ্ট হয়ে মারা যান। এই মর্মান্তিক ঘটনায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর।

ভারতীয় জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি লোগোতে পাকিস্তানের নাম থাকবে, নিশ্চিত করল বিসিসিআই

কি ঘটেছিল?

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,পুষ্পক এক্সপ্রেসে কিছু ফ্রিকশনের কারণে আগুনের ফুলকি উড়তে দেখা যায়। সেই মুহূর্তে যাত্রীরা ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকেন “আগুন লেগে গেছে, আগুন লেগে গেছে” বলে । আতঙ্কিত যাত্রীরা একের পর এক ট্রেন থেকে লাফ দিতে শুরু করেন। এমন সময়, অপর লাইনে এসে উপস্থিত হয় কর্ণাটক এক্সপ্রেস, যার ধাক্কায় একাধিক যাত্রী নিহত হন।একজন প্রত্যক্ষদর্শী, বিশাল যাদব, জানান, “আমি নিজেও ট্রেন থেকে নেমেছিলাম, হঠাৎ একে একে ট্রেন চলে আসে এবং ধাক্কায় কিছু যাত্রী পিষ্ট হয়ে যায়। আমি সরে যেতে গিয়ে আহত হলাম। এটা একেবারে হাড় হিম করা অভিজ্ঞতা।”রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেখানে ট্রেন থামানো হয়েছিল, সেখানে আগুনের ফুলকি দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকে আতঙ্ক সৃষ্টি হলে যাত্রীরা চেন টানেন এবং ট্রেন থেকে লাফ দেন। কিন্তু অপর লাইনে তখন আসছিল কর্ণাটক এক্সপ্রেস, যার ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণে বেঁচে ফিরলেন জ়িনত আমনঃ শোনালেন এক ভয়ানক অভিজ্ঞতার গল্প

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস দুর্ঘটনার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটি দুর্ঘটনা। আমি মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং আহতদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মৃতদের পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।এটা ছিল একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা, যা আজকের দিনে দেশের রেল পরিবহনের নিরাপত্তা বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা পুনরায় তুলে ধরেছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর