ব্যুরো নিউজ,১৮ জানুয়ারি:প্রয়াগরাজে চলমান মহাকুম্ভ মেলায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। নাগা সাধুরা, যারা সাধারণত রাগী হলেও সহজে অশান্তিতে জড়ান না, সেই তাঁরা এই মেলায় একটি বিরোধী প্রচারের বিরুদ্ধে ক্রোধে ফেটে পড়লেন। কী ঘটেছিল, আর কেন এত রেগে গেলেন নাগা সন্ন্যাসীরা?মূলত, কুম্ভমেলা নিয়ে কিছু মানুষ কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাসের প্রচার করছিলেন। মেলায় বিভিন্ন পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড লাগানো ছিল যেখানে কুম্ভমেলার বিরোধিতা করা হচ্ছিল। এমনই একটি প্রচারের মুখে ছিলেন আচার্য প্রশান্তের বুকস্টল। সেখানে পোস্টার হাতে কিছু লোক কুম্ভমেলার বিরোধিতা করছিলেন এবং মাইকিংও চলছিল।
১২৫ বছর বয়স স্বামী শিবানন্দের! ১০০ বছর ধরে কুম্ভ মেলায় যোগদান করছেন তিনি? জানুন এনার সম্পর্কে
ক্ষোভ প্রকাশ
এই কথা শোনার পর, নাগা সাধুরা রেগে গিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা কুম্ভ বিরোধী সমস্ত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন এবং যারা এই প্রচার চালাচ্ছিলেন, তাদের দিকে তেড়ে যান। এরপর টেবিল, চেয়ার, যা কিছু ছিল তা উল্টে দেয়। তারা ভাঙচুর শুরু করেন, এই সব কিছুর মাধ্যমে তারা নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এদিকে, নাগা সাধুদের এই ক্রোধ দেখেই অন্যান্য মানুষও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। অনেকেই পোস্টারগুলি কুড়িয়ে নিয়ে আগুনে পোড়ানোর হুঁশিয়ারি দেন। তবে নাগা সাধুরা তাদের থামিয়ে দিয়ে এই পোস্টারগুলি নিজেদের কাছে সংগ্রহ করেন এবং বলেন, “এটি আমরা যোগী বাবাকে (মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ) দেখাবো।”
আসফাকুল্লা নাইয়াকে ঘিরে বিতর্ক, শোকজ এবং পুলিশের তদন্ত
কুম্ভমেলা নিয়ে এমন তাণ্ডবের দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই নাগা সাধুদের এই প্রতিক্রিয়া সমর্থন করেছেন এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কুম্ভমেলার বিরোধিতার এমন প্রচার কেন ও কোথায় শুরু হল এবং কেন নাগা সাধুরা এত ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন।এই ঘটনা প্রমাণ করেছে যে কুম্ভমেলা এবং তার সাথে যুক্ত আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের প্রতি নাগা সাধুদের একটি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে, যা তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে রক্ষা করতে প্রস্তুত।