ব্যুরো নিউজ,১০ জানুয়ারি:গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪ সালে ১ কোটি পুণ্যার্থীকে আকর্ষণ করেছিল, এবং এবারে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যাতে পুণ্যার্থীরা নির্বিঘ্নে মেলা উপভোগ করতে পারেন। গঙ্গাসাগর বর্তমানে প্রস্তুত হয়েছে বিভিন্ন সেবামূলক সুবিধার জন্য। সরকার পুণ্যার্থীদের যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থা, পুণ্যস্নানের ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করেছে।
আলিপুরদুয়ারের মেচপাড়া চা-বাগান হঠাৎ করে বন্ধ, শ্রমিকরা কর্মহীন
‘মে আই হেল্প ইউ’ বোর্ড
এবার গঙ্গাসাগর মেলায় বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে ভাষাগত সমস্যার সমাধানের জন্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন এবং তাদের মধ্যে কেউ বাংলা, কেউ হিন্দি, আবার কেউ অন্য ভাষায় কথা বলেন। এ কারণে রাজ্য সরকার ‘সাগর বন্ধু’ নামে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই ‘সাগর বন্ধু’রা বাসে যাত্রীদের সঙ্গে থাকবেন এবং ভাষাগত সমস্যা সমাধান করবেন। প্রত্যেকটি বাসে একজন করে ‘সাগর বন্ধু’ থাকবে, যারা পুণ্যার্থীদের সাহায্য করবেন।যাতায়াত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে, ২০২৫ গঙ্গাসাগর মেলায় ২,৩০০ সরকারি বাস, ২৫০টি বেসরকারি বাস, ৯টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ এবং ২১টি জেটি রাখা হয়েছে। এছাড়া, সমস্ত পরিবহণে জিপিএস সিস্টেম সংযুক্ত করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পুলিশের তৎপরতা এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়।
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে বিপুল ক্ষতিঃ পাঁচ লাখ কোটি টাকার উপরে হতে পারে আর্থিক ক্ষতি
গাড়ির গতির উপর বাড়তি নজরদারি থাকবে এবং নিখোঁজ পুণ্যার্থীদের ট্র্যাক করার জন্য জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।মেলা উপলক্ষে তথ্য ও সহায়তার জন্য ‘মে আই হেল্প ইউ’ বোর্ড রাখা হবে, যাতে পুণ্যার্থীরা কোনো সমস্যায় পড়লে সহায়তা পেতে পারেন। এছাড়া, ৫১৫ বেডের আইসিইউ-সহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২০ ঘণ্টা চালু থাকবে লঞ্চ এবং ভেসেল। নিরাপত্তা এবং সেবা নিশ্চিত করতে ৩,০০০ সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মরত থাকবেন।