ব্যুরো নিউজ, ৯ জানুয়ারি:মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের উৎরে গ্রামে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যেখানে মামা, যিনি নিজের ভাগ্নিকে ছোট থেকে বড় করে মানুষ করেছিলেন, নিজের অমতে ভাগ্নির বিয়ে করায় বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলেন খাবারে। তবে ভাগ্যক্রমে সেই খাবার কেউ খায়নি, এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছে সবাই।
বিধবা ভাতা বিতর্কঃ শান্তিপুরে জালিয়াতির অভিযোগে উত্তাল রাজনীতি
কি ঘটেছিল?
মামার নাম মহেশ পাটিল। পুলিশের তথ্যানুসারে, মহেশ ছোট থেকেই ভাগ্নিকে নিজের কাছে রেখে মানুষ করেছিলেন। ভাগ্নির জীবনে এক যুবকের প্রবেশ ঘটে, এবং তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। ভাগ্নি ওই যুবককে বিয়ে করতে চেয়েছিল, কিন্তু মামা রাজি হননি। অনেক চেষ্টা করেও তিনি মামাকে রাজি করাতে পারেননি, ফলে শেষমেষ বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।বিয়ের পর গ্রামেই একটি বৌভাতের আয়োজন করা হয়েছিল, তবে সেখানে মহেশ আমন্ত্রিত ছিলেন না। অভিযোগ, তিনি সেই বিয়েবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করেন এবং পকেট থেকে বিষ বার করে খাবারে মিশিয়ে দেন। যেহেতু উপস্থিত অতিথিরা সেই খাবার খায়নি, কোনো বড় বিপদ থেকে সবাই রক্ষা পায়।
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনঃ বিএনপির বিরোধিতা, সৃষ্টি হতে পারে রাজনৈতিক অস্থিরতা
তবে, ঘটনা ধরা পড়ার পর সবাই থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে বিষাক্ত খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা পাঠায়। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে, কী ধরনের বিষ সেখানে ব্যবহার করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পুলিশ তার খোঁজ করছে। তদন্ত চলছে, কীভাবে মহেশ বিষ সংগ্রহ করেছিলেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
