ব্যুরো নিউজ, ৯ জানুয়ারি:নদিয়ার শান্তিপুরের শেফালি দে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের জন্য আবেদন করে অজান্তে ‘বিধবা ভাতা’ পেয়ে গেছেন। কিন্তু প্রশাসন অভিযোগ করেছে, শেফালি এবং তার পরিবারের সদস্যরা সচেতনভাবে ভুল তথ্য দিয়েছেন এবং এভাবেই বিধবা ভাতা নিয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।শেফালির পরিবারের দাবি, তারা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তাদের অজান্তে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী উত্তম দেবনাথ ভুলভাবে ‘বিধবা ভাতা’ প্রদান করিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এই দাবি মানতে রাজি নয়।
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনঃ বিএনপির বিরোধিতা, সৃষ্টি হতে পারে রাজনৈতিক অস্থিরতা
ভুল তথ্য?
বিডিও সন্দীপ ঘোষ জানান, শেফালি এবং তার পরিবার সরকারের কাছে ভুল তথ্য প্রদান করে বিধবা ভাতা পেয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে।এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি রাজ্য প্রশাসন এবং শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যে অনেক এমন ঘটনা ঘটছে যেখানে তৃণমূলের নেতারা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্যে “লক্ষ্মীর ভান্ডার” প্রকল্পের মাধ্যমে এই ধরনের জালিয়াতি হচ্ছে এবং তা তদন্ত হওয়া উচিত।
দেব-ভক্তদের কুরুচিকর মন্তব্য,কিন্তু দেব চুপ! শিবপ্রসাদ ও জিনিয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের
শেফালির শাশুড়ি পদ্মা দে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, কেন তাঁর ছেলে পরেশ দে জীবিত থাকা সত্ত্বেও তাঁর বৌমা বিধবা ভাতা পেয়েছেন? এই প্রশ্ন উত্থাপন করে শুভেন্দু দাবি করেছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।এদিকে, বিডিও সন্দীপ ঘোষ বলেছেন, শেফালি এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া না হলে, শেফালি এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
