ব্যুরো নিউজ,৭ জানুয়ারি:ভারী খাওয়া-দাওয়া করে রাতের শুয়ে চোখ বুজলেই শুরু হয় অস্বস্তি। কিছুক্ষণ পরেই বুকজ্বালা, ঢেকুর, তিক্ত অম্ল স্বাদ—এমন এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যা রাতটা কষ্টের করে তোলে। জানেন কি, এই সমস্যা আসলে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ বা জিইআরডি নামক এক ক্রনিক রোডের কারণে হয়ে থাকে?চিকিৎসক জানাচ্ছেন, যখন পাকস্থলীতে থাকা অ্যাসিড শারীরিক গোলযোগের কারণে খাদ্যনালিতে উঠে আসে, তখনই এই সমস্যা দেখা দেয়। এটি সাধারণত রাতে শুয়ে থাকার সময় বেশি হয়, কারণ শুয়ে থাকলে অ্যাসিডের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে বুকজ্বালা, ঢেকুর, গলা-এ আটকে থাকার মতো অস্বস্তি শুরু হয়।
হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন? একটা আসন রোজ করলেই দৌড়বেন আপনি
কেন এমন হয়?
এ সমস্যার একটি প্রধান কারণ হল “লোয়ার ইসোফিজিয়াল স্পিংটার” (LES)। এটি পাকস্থলীর মুখে থাকা এক ধরনের পেশি, যা খাবার বা জল খাওয়ার সময় শিথিল হয় এবং খাদ্যনালিতে যায়। তবে যখন এটি ঠিক মতো বন্ধ হয় না, তখন পাকস্থলীর অ্যাসিড বাইরে এসে গলা এবং বুকের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করে। বিশেষত রাতে শুয়ে থাকার সময় এই সমস্যা আরও প্রকট হয়।
কীভাবে ঠেকাবেন?
রাতে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা মোকাবিলা করতে, কিছু সহজ নিয়ম মানলে স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসক সোলাঙ্কি জানাচ্ছেন, যদি কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তাহলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমানো সম্ভব:
বেড়াতে গিয়েও ত্বকের যত্ন নিতে ভুলবেন না, জানুন সহজ কিছু টিপস যাতে আপনার ত্বক থাকবে তরতাজা
১. গভীর রাতে খাওয়া না-খাওয়ার অভ্যাস করুন: রাতের খাবার, শোয়ার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন। এতে খাবার হজমে সহায়তা করবে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমবে।
২. বালিশের সাহায্যে মাথা উঁচু করুন: রাতে শুয়ে থাকাকালীন মাথা বালিশ দিয়ে ৬-৮ ইঞ্চি উঁচু রাখুন। এতে পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড উঠে আসার সম্ভাবনা কমবে।
৩. বাঁ দিকে শোবেন: বাঁ দিকে শুলে খাদ্যনালীর উপর চাপ কম পড়ে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. অ্যান্টাসিড ব্যবহার করুন: বাজারে পাওয়া অ্যান্টাসিডগুলো সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে, তবে যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শুক্রের নক্ষত্র পরিবর্তনঃ কোন রাশির জন্য আসছে সুখের বার্তা?
সতর্কতা:
অ্যাসিড রিফ্লাক্স যদি একাধিক দিন ধরে চলতে থাকে, তবে এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় রূপ নিতে পারে। সেক্ষেত্রে, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক জীবনযাত্রার মাধ্যমে এর সমস্যা কিছুটা কমানো সম্ভব।