ব্যুরো নিউজ,২ জানুয়ারি:কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে দীর্ঘ দিন পর সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভে ফিরল বাঘিনী জ়িনত। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে তাকে ওড়িশার সিমলিপালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সিমলিপালে পৌঁছানোর পর রাতভর বাঘিনিকে চিড়িয়াখানার ডেরায় ছাড়া হয়নি। তাঁকে রাখা হয়েছিল পর্যবেক্ষণে। তবে বুধবার দুপুরে তাকে তার পুরনো ডেরায় ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, জ়িনত এখন সুস্থ আছে এবং নিজের স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে এসেছে।
নতুন বছরের জন্য শান্তি, আনন্দ এবং ভালোবাসা চাইলেন নাতাশা স্ট্যানকোভিচ
স্বাভাবিক জীবনে প্রবেশ
বাঘিনিকে বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহি থেকে গত রবিবার সন্ধ্যায় ধরার পর আলিপুরে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে পশু হাসপাতালে রাখা হয় এবং তাকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সোমবার তাকে ওআরএস দেওয়া হয়েছিল, তবে সে কোন মাংস খায়নি। বিশেষজ্ঞরা জানান, বাঘিনী ৪৮ ঘণ্টা না খাওয়ার পরেও কোনো উদ্বেগের কারণ নেই, কারণ বাঘরা সাত দিন পর্যন্ত খাওয়ার ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে।জ়িনত শুরুতে বনকর্মীদের সঙ্গে লুকোচুরির খেলায় মেতে ছিল এবং তিনটি জেলার মধ্যে ঘুরে বেড়িয়েছে। তবুও, বনকর্মীরা অবশেষে রবিবার দুপুরে গোঁসাইডিহির জঙ্গলে তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে ধরতে সক্ষম হন। সিমলিপাল থেকে শুরু করে, জ়িনত একাধিক জায়গায় গিয়ে নিজের গর্ত বদল করেছে। সে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, এমনকি কোলকাতার কাছের এলাকার জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়েছে। অবশেষে, সিমলিপালেই তার প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরে গিয়ে স্বাভাবিক জীবনে প্রবেশ করল।
মোদী সরকারের কৃষকদের জন্য নতুন বছরের উপহারঃ ফসল বিমা ও সারের দামে নিয়ন্ত্রণ?
জ়িনত মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারি ব্যাঘ্র সংরক্ষণে জন্মগ্রহণ করেছিল। পরে তাকে ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভে নিয়ে আসা হয়, যেখানে সে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিল। তবে, কয়েকদিন আগে ঝাড়খণ্ডের কুলিয়া রেঞ্জের রাজাবাসা এলাকা দিয়ে সে বেড়িয়ে পড়েছিল এবং এর পরপরই বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করে। এখন জ়িনত সিমলিপালের ডেরায় শান্তিতে জীবন কাটাচ্ছে।
