ব্যুরো নিউজ,৩১ ডিসেম্বর:পরীক্ষা বা ভোটের ফলাফলের আগেই মন্দির-মসজিদে প্রার্থনা করা অনেকের একটি পুরনো রীতি। বিশ্বাসের শক্তিতে আশা করা হয় যে, মন দিয়ে প্রার্থনা করলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া সম্ভব। সম্প্রতি, এমনই এক নজির তৈরি করেছেন বাংলাদেশে মুসলিম সংগঠনের সদস্যরা। তবে তাঁদের প্রার্থনা নিজের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে। তাঁরা প্রার্থনা করেছেন, যাতে হিন্দুরা আবার শান্তিপূর্ণ জীবন ফিরে পায়।
নতুন বছরের প্রথম দিন কীভাবে কাটালে শুভ হবে জেনে নিন
অশান্তির পরিস্থিতি
চলতি বছর থেকে বাংলাদেশে অশান্তির পরিস্থিতি শুরু হয়, বিশেষত ছাত্র আন্দোলন ও বিপ্লবের কারণে। আন্দোলন এতটা তীব্র হয়ে ওঠে যে, শেখ হাসিনা সরকার বদলে যায় এবং নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন। তবে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি, বরং আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক অত্যাচারের খবর উঠে আসে। অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী এই সময়ের মধ্যে মারাত্মক নিগ্রহের শিকার হন।তবে, এ পরিস্থিতির এক নতুন মাপকাঠি দেখা যায় যখন সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার হন। তাঁর সঙ্গে আরও অনেককে গ্রেফতার করা হয়, যারা প্রতিবাদ করেছিলেন। এই সমস্ত অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামা নিষিদ্ধ করা হলেও, ওপার বাংলায় বহু মানুষ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা দৃঢ়ভাবে দাবি করছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ হোক। ভারত সরকারও এ বিষয়ে কঠোর বার্তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে।
নতুন বছরে ভাগ্যের চাকা কি ঘুরবে? ২০২৫ সালে কিছু রাশির জাতক জাতিকার জন্য দুর্দান্ত সুযোগ
এই আবহে, উত্তরাখণ্ডের পিরান কালিয়ার শরিফ মসজিদে এক বিশেষ দৃশ্য নজরে আসে। সেখানে মুসলিম সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য শান্তি কামনায় মসজিদে চাদর চড়ান। তাঁরা বলেন, ইসলাম ধর্ম শান্তির কথা বলে, এবং যারা হিংসা ছড়াচ্ছে তাদের মনুষ্যত্ব নেই। তাঁদের মতে, আইএস এবং জামাতের মতো গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে।এই প্রার্থনা মুসলিম সংগঠনের সদস্যদের জন্য বিশেষ এক মুহূর্ত হিসেবে ধরা হচ্ছে। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন, মন্দির ভাঙা হচ্ছে, মা-বোনেরা সুরক্ষিত নেই—এসব সহ্য করতে না পেয়ে তাঁরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন। তাঁদের একমাত্র চাওয়া, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত হয়ে, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবার জন্য শান্তি ফিরুক।