ব্যুরো নিউজ,২৮ ডিসেম্বর:প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে বিতর্ক চলছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, মনমোহন সিংহের শেষকৃত্য স্থলেই তাঁর স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হোক। সেই অনুযায়ী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেছেন আবার এই ইচ্ছা জানিয়ে একটি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। তবে শনিবার সকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে কেন্দ্রের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস।পরে, বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, মনমোহনের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে, যেটি লালকেল্লার পিছনে অবস্থিত। এরপরই কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয় এবং সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করা হয়।
বর্ষবরণের আগে যশোর রোডে যান চলাচল বন্ধ, ভোগান্তির আশঙ্কা
উপযুক্ত পরিবেশ
এদিকে, রাতের দিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মন্ত্রক একটি বিবৃতি দেয়, যেখানে বলা হয়, কংগ্রেস সভাপতির কাছ থেকে স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য জায়গা চাওয়া হয়েছে এবং তা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্র জানায়, মনমোহন সিংহের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হবে, তবে তার আগে শেষকৃত্য এবং আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হতে হবে। এই সিদ্ধান্তের জন্য একটি ট্রাস্ট তৈরি করা হবে, যা জায়গার বরাদ্দ পাবে।কংগ্রেসের প্রশ্ন, এভাবে নিগমবোধ ঘাটে কেন মনমোহন সিংহের শেষকৃত্য হবে? তারা চায়, সিংহের শেষকৃত্য যমুনার তীরে, রাজঘাটের কাছাকাছি এমন জায়গায় হোক যেখানে তাঁর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা সম্ভব হবে। কংগ্রেসের দাবি, নিগমবোধ ঘাটে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উপযুক্ত পরিবেশ নেই।
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাসঃ কলকাতায় কবে ঠাণ্ডা পড়বে?
অন্যদিকে, সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাজঘাটে সব প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতার স্মৃতির জন্য একটি স্থান তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যা ইউপিএ সরকারের আমলে হয়েছিল।এভাবেই এই বিষয়ে রাজনৈতিক তরজা এবং বিতর্ক চলছে, যেখানে একপক্ষ স্মৃতিসৌধের জন্য স্থান চাইছে এবং অন্যপক্ষ এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।