জয়নগরের মোয়া আসল নাকি নকল?

ব্যুরো নিউজ,২৬ ডিসেম্বর:শীতকাল মানেই নানা ধরনের সুস্বাদু মিষ্টির উপস্থিতি। সেই তালিকায় এক অন্যতম জনপ্রিয় নাম হলো ‘জয়নগরের মোয়া’। এই মোয়া একসময় শুধুমাত্র বাঙালি বাড়ির খাবার তালিকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু এখন তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং বিদেশেও পৌঁছে গেছে। তবে, যে মোয়ার প্যাকেটে বড় বড় করে লেখা থাকে ‘জয়নগরের মোয়া’, তা কি সব সময় আসল হয়? আসল এবং নকল মোয়া চেনার কিছু উপায় রয়েছে, যা জানা থাকলে আপনি সহজেই আসল মোয়া চেনতে পারবেন।

কাজের চাপে কম ঘুম হচ্ছে? ক্লান্তি কাটাতে না কাটতেই আবার কাজে যাওয়া? তাহলে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখবেন কিভাবে?

আসল উপাদান


মোয়ার আসল উপাদান হলো বিশেষ ধরনের খই, যা কনকচূড় ধান থেকে তৈরি। এই ধান শুধুমাত্র জয়নগর অঞ্চলে পাওয়া যায়, এবং এটি সরকারি জিআই (গিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) ট্যাগ পেয়েছে, যার ফলে অন্য কোথাও এই ধানের চাষ করা নিষিদ্ধ। তবে, আজকাল বাজারে যে মোয়া পাওয়া যায়, তা সবসময় আসল নাও হতে পারে। আসল মোয়া চেনার জন্য প্রথমেই মনোযোগ দিতে হবে মোয়ার স্বাদ, গন্ধ এবং রঙের দিকে।জয়নগরের বহড়ু গ্রামের শিল্পীরা জানান, আসল মোয়া তৈরিতে শুধু কনকচূড় ধানের খই, নলেনগুড়, ঘি, ক্ষীর, কাজু এবং কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। আর, এসব উপাদান খাঁটি হলে স্বাদ এবং গন্ধ অনেক আলাদা হয়। নকল মোয়া চেনার জন্য প্রথমেই দেখে নিতে হবে তার রং এবং গন্ধ। আসল মোয়া হয় একটু তামাটে রঙের এবং এর গন্ধ থাকে ভিন্ন। অন্যদিকে, নকল মোয়া অনেকটাই সাদা এবং তার গন্ধও বেশ ভুরভুরে। এছাড়া, দামও একটা বড় বিষয়। সাধারণত, নকল মোয়া সস্তা হয়, তবে দাম বেশি হলেই তা আসল হবে এমন নয়।

ভারতের প্রথম ঝুলন্ত রেল ব্রিজ কাশ্মীরেঃ ট্রেন পরিষেবা কবে চালু?

রঞ্জিত কুমার ঘোষ, যিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মোয়া তৈরি করছেন, বলেন যে প্যাকেট খুললে একটুখানি সময় পরেই যদি গন্ধ উধাও হয়ে যায়, তবে সেটি খাঁটি নয়। তবে, আসল হোক বা নকল, মোয়া তো মিষ্টি খাবারের মধ্যে একটি মিষ্টান্নই, যা শীতের দিনে  জনপ্রিয়।তাহলে, জয়নগরের মোয়া কেনার আগে যদি কিছু বিষয় খেয়াল রাখেন, যেমন রং, গন্ধ এবং দাম, তাহলে সহজেই আপনি জানবেন কোন মোয়া আসল আর কোনটা নকল।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর