ব্যুরো নিউজ,২৪ ডিসেম্বর:বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ফের একবার সক্রিয় ভূমিকা নিল আমেরিকা। সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, এই ফোনালাপে মানবাধিকার রক্ষা এবং গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সালিভান এবং ইউনূস উভয়েই ধর্ম নির্বিশেষে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র বজায় রাখতে আমেরিকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। যদিও এই আলোচনার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি, তবে ইতিবাচক আলোচনার ইঙ্গিত মিলেছে।
মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা হ্রাস জিও-র, বাড়ছে এয়ারটেলের জনপ্রিয়তা
আন্তর্জাতিক সমর্থন
সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের বিষয়গুলি নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে আমেরিকার প্রশাসনের কাছে। ডিসেম্বরে অন্তত ছ’বার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রকে।বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের প্রসঙ্গ, এবং তাঁর আইনজীবীর ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত দাবি এবং রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও আমেরিকার অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বাড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের আস্থা
সম্প্রতি আমেরিকায় বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে। এতে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন আরও তীব্র হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে আমেরিকার পক্ষ থেকে বারবার বার্তা দেওয়া হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে সালিভানের ফোনালাপ এবং মানবাধিকার প্রসঙ্গে তাদের সহমত প্রকাশ বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সমর্থন যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা এই ঘটনাগুলি থেকে স্পষ্ট।