ব্যুরো নিউজ,২৩ ডিসেম্বর:গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন প্যালেস্টাইনি, আহত হয়েছেন অন্তত ৫৪ জন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার করুণ অবস্থা— হাতেগোণা কয়েকটি হাসপাতাল টিকে আছে। ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে চিকিৎসকেরা প্রায় অসহায়।
উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টারে তিন খলিস্তানি জঙ্গির মৃত্যুঃ উদ্ধার একে-৪৭ রাইফেল
কামাল আদওয়ান হাসপাতালে সংকট
ইজ়রায়েলি বাহিনী (আইডিএফ) উত্তর গাজ়ার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। হাসপাতালের ডিরেক্টর কাতরভাবে রোগী ও কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করলেও, আইডিএফ স্পষ্ট জানায়, হাসপাতাল খালি করতে হবে। হাসপাতালের চিকিৎসক হাসাম আবু সাফিয়া জানান, ‘‘ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে পর্যন্ত বোমা ফেলা হচ্ছে।’’ নার্সারি ও প্রসূতি বিভাগে গোলাবর্ষণ, স্নাইপার ফায়ার এবং ট্যাঙ্কের গোলায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলে রেল শিল্পের বিকাশঃ কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত
গাজ়ার জাবালিয়া শিবিরে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন, যার মধ্যে চার জনই শিশু। স্কুল এবং শরণার্থী শিবিরেও হামলার ঘটনা ঘটছে। ইজ়রায়েল দাবি করছে, তারা হামাসের ঘাঁটিতে আঘাত করছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের অভিযোগ, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও নারীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।গাজ়ায় জল, খাবার ও বিদ্যুৎ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২৪ লক্ষ মানুষ ঘরহারা, আশ্রয় শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন। ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’-এর শতাধিক ত্রাণ অনুরোধের মধ্যে মাত্র তিনটি অনুমোদন করেছে ইজ়রায়েল। উত্তর গাজ়ার বেট হানুন, বেট লাহিয়া এবং জাবালিয়ার অবস্থা আরও করুণ।পোপ ফ্রান্সিস ইজ়রায়েলের এই কার্যকলাপকে ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে সমালোচনা করেছেন।গাজ়ায় চলমান এই সঙ্কট সমাধানের জন্য বিশ্বজুড়ে মানবিক আবেদন উঠছে।