খামেনেইয়ের মন্তব্যে বিতর্কে উত্তাল ইরান

ব্যুরো নিউজ,২০ ডিসেম্বর:ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু আলি খামেনেই নারীদের তুলনা করলেন পেলব ফুলের সঙ্গে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘নারীরা নরম ফুলের মতো। তাঁরা পরিচারিকা নন। ফুলের যত্ন নেওয়ার মতোই পরিবারের নারীদের যত্ন করা উচিত যাতে তাঁরা সতেজতা ও সুগন্ধ ছড়াতে পারেন।’’ এই মন্তব্যে একদিকে প্রশংসা, অন্যদিকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।নারী-পুরুষের ভূমিকা প্রসঙ্গে খামেনেই আরও বলেন, ‘‘পরিবারে পুরুষরা খরচের দায়িত্ব সামলান, নারীরা ঘর ও সন্তান দেখাশোনা করেন। দু’জনের আলাদা ভূমিকা রয়েছে, যা তুলনীয় নয়।’’ তাঁর এই মন্তব্য ইরানে চলমান নারী অধিকারের আন্দোলনে নতুন মাত্রা এনেছে।

অমিত শাহের অম্বেডকর মন্তব্য ঘিরে সংঘর্ষঃ রাহুলের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ

বিধিনিষেধের বেড়াজাল


ইরানে মেয়েদের জন্য কঠোর হিজাববিধি রয়েছে, যা ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর আয়াতোল্লা খোমেইনি চালু করেছিলেন। খামেনেইয়ের শাসনামলেও এই বিধি অটুট রয়েছে। হিজাব না পরলে শাস্তি অনিবার্য। ২০২২ সালে হিজাব আইন অমান্য করায় ২২ বছরের মাহ্‌সা আমিনিকে আটক করে নীতি পুলিশ। হেফাজতে তাঁর মৃত্যুর পর বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠলেও, ইরানে আইন আরও কঠোর হয়েছে।সম্প্রতি তেহরানের এক ছাত্রী প্রকাশ্যে অন্তর্বাস পরে হেঁটে প্রতিবাদ জানানোর জন্য এবং এক গায়িকা কাঁধ-অনাবৃত পোশাক পরায় গ্রেফতার হয়েছেন। খামেনেইয়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, নারীদের অধিকার এবং স্বাধীনতা নিয়ে। সমালোচকদের মতে, নারীর মর্যাদার কথা বললেও, তাঁর দেশেই মেয়েদের জন্য বিধিনিষেধের বেড়াজাল আরও দৃঢ় হচ্ছে।

ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে বিতর্ক: বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি মূল কারণ?

ইরানের নারীরা প্রতিনিয়ত তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন। কিন্তু প্রশাসনের কঠোর দমননীতি তাঁদের প্রতিবাদ দমিয়ে রাখছে। খামেনেইয়ের বক্তব্যকে কেউ কেউ নারীর প্রতি সদয় মনোভাবের প্রতিফলন বলছেন, আবার কেউ এটিকে নারীর স্বাধীনতায় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করছেন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর