ব্যুরো নিউজ,১৬ ডিসেম্বর:গত মাসের শেষের দিকে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল শহর খবরের শিরোনামে উঠে আসে।শাহি জামা মসজিদে সমীক্ষা নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল শহরটি যার ফলে গোষ্ঠী সংঘর্ষে চারজন নিহত হন এবং আহত হন পুলিশকর্মীসহ অনেকে। তবে এখন সেই সম্ভল শহরের একটি বিশেষ খবর সামনে এসেছে যা স্থানীয়দের জন্য আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪৬ বছর পর শহরের একটি পুরনো মন্দির পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরটির দরজা ১৯৭৮ সালে একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর তালাবন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং তারপর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে এটি বন্ধ ছিল।
কীর্তি সুরেশের বিয়ের মুহূর্তঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় রোমান্টিক ছবি শেয়ার
একাধিক অভিযান
সম্প্রতি প্রশাসনের একটি উচ্ছেদ অভিযানে মন্দিরটির খোঁজ পাওয়া যায়।প্রশাসনিক কর্মীরা যখন ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছিল তখনই প্রাচীন মন্দিরটির অস্তিত্ব সামনে আসে। মন্দিরের ভিতরে হনুমানের মূর্তি এবং একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে। এই মন্দিরটি শহরের খাগ্গু সরাই এলাকায় অবস্থিত যেখানে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন সেখানে একাধিক অভিযান চালাচ্ছিল। মন্দিরটি খুঁজে পাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন মন্দিরটি পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।স্থানীয় বাসিন্দা মুকেশ রস্তোগি জানিয়েছেন তিনি শুনেছেন মন্দিরটি অন্তত ৫০০ বছরের পুরনো।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন রোধে কূটনৈতিক পদক্ষেপের দাবি কংগ্রেসের
তার পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের কাছ থেকে শোনা তথ্য অনুযায়ী একসময় ওই মন্দিরের পাশের এলাকায় একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বাস ছিল। কিন্তু ১৯৭৮ সালের গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর ওই সম্প্রদায় চলে যায় এবং মন্দিরটি তালাবদ্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৪৬ বছর পর মন্দিরটি পুনরায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও, মন্দির চত্বরে একটি কুয়ো রয়েছে যা সংস্কার করে আবার ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এটি স্থানীয়দের কাছে একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে কারণ দীর্ঘ সময় পর তারা তাদের প্রিয় মন্দিরে পূজা দিতে পারবেন।