ব্যুরো নিউজ,১৬ ডিসেম্বর:জলসা শূন্য। সঙ্গীতের এক বিশাল দিগন্তের সূচনা হয়েছিল যেখানে, সেই স্থান আজ নিঃসঙ্গ। তবলা মায়েস্ত্রো উস্তাদ জাকির হুসেন আর নেই। সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রয়াণে শোকের ছায়া পড়েছে গোটা বিশ্বের ওপর। সঙ্গীত শিল্পী এ আর রহমান এই অকাল প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তবলার জাদুকর জাকির হুসেনঃ কিংবদন্তি শিল্পীর জীবনের কিছু অবিস্মরণীয় মুহূর্ত
কি বললেন রহমান ?
জাকির হুসেন ও রহমানের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত কাছের। একসঙ্গে কাজ করার স্মৃতি আজও তাদের মাঝে অমলিন। রহমানের বক্তব্যে উঠে এসেছে তার একমাত্র আক্ষেপ—’জাকির ভাইয়ের সঙ্গে আর কাজ না করতে পারার কষ্টটা আমার মধ্যে রয়েই যাবে।’ রহমান আরও লিখেছেন ‘জাকির ভাই ছিলেন একজন অসাধারণ অনুপ্রেরণা। তিনি তবলাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। তাঁর চলে যাওয়ার ক্ষতি অপূরণীয়।’ তবে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, জাকির হুসেন যখন গ্র্যামি পুরস্কারে সম্মানিত হন, তখনও তিনি ছিলেন সঙ্গীত জগতে তারুণ্যের উদাহরণ।
সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি নেই, বাড়বে রাতের তাপমাত্রা
জাকির হুসেনের প্রয়াণের খবর সোমবার ভোরে নিশ্চিত করে তাঁর পরিবার। জানা গেছে, তিনি আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল। তাঁর পরিবারও দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত কিছু করা সম্ভব হয়নি।শোকের প্রেক্ষাপটে, দেশে এবং বিদেশে সঙ্গীত ও রাজনৈতিক মহল থেকে তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। মায়েস্ত্রো জাকির হুসেনের এই অপূরণীয় ক্ষতি সঙ্গীত জগতের জন্য এক বিশাল শূন্যতা তৈরি করে গেল।