নলেন গুড়

ব্যুরো নিউজ, ১৪ ডিসেম্বর:শীতের দিনে চারপাশে নলেন গুড়ের গন্ধ। পিঠে, পায়েস, রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা, সন্দেশ – সব কিছুতেই নলেন গুড়ের মিষ্টি স্বাদ মনকে ভরিয়ে তোলে।সারা শীত ধরে সবাই এই গুড়ের মিষ্টি খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়, কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় ‘এটা কি বেশি মিষ্টি খাওয়া হচ্ছে না?’ কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, গুড়ের রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।তারকাদের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর সম্প্রতি এক ভিডিওতে বলেছেন যদি রাতের খাবারের পরে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হয় তবে এক চামচ গুড় এবং ঘি মিশিয়ে খেলে আপনার হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।

বাড়িতে অতিথি আসবে? কি বানাবেন ঠিক করতে পারছেন না? রইল দারুন একটা রেসিপি,ধন্য ধন্য করবে সবাই  

খাদ্যতালিকায় গুড় রাখা উচিত?

অন্যদিকে, পুষ্টিবিদ দীপা জৈন বলছেন, গুড়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, জিঙ্ক, এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজ যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি লিভারকে সুস্থ রাখে। গুড় হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং মহিলাদের হরমোনজনিত সমস্যাগুলোও সমাধান করতে পারে।মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ ড. নিরুপমা রাও জানাচ্ছেন, গুড়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে এবং অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কমায়।

শীতে খুশকির সমস্যায় নাজেহাল কম বেশি সবাই। কি করণীয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জানুন

তবে সবসময় মনে রাখা প্রয়োজন, গুড়ের পুষ্টি যদিও রয়েছে, তা কিন্তু একেবারে কম পরিমাণে। ১০০ গ্রাম গুড়ে মাত্র ০.৪ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.১ গ্রাম ফ্যাট থাকে। গুড়ে থাকা চিনির পরিমাণও বেশ। ১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ৬৫-৮৫ গ্রাম সুক্রোজ, ফ্রুকটোজ এবং গ্লুকোজ থাকে। অর্থাৎ গুড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে চিনিও রয়েছে। তাই চিনির বদলে গুড় খাওয়া ভালো হলেও নিয়মিত গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়।যদিও গুড়ে ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক থাকার কারণে কিছু পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। সর্দি-কাশির সময় গুড় একটু এনার্জি দিতে পারে, কিন্তু নিয়মিত খাদ্যতালিকায় গুড় রাখা উচিত নয়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর