'রং বদলানোর’ সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্য

ব্যুরো নিউজ,১২ ডিসেম্বর:কেন্দ্রীয় সরকার ‘রং বদলানোর’ প্রস্তাব দিয়েছিল তবে রাজ্য এই প্রস্তাবে সায় দেয়নি। তাদের ‘নিজেদের রং’ অর্থাৎ নীল-সাদা রং অক্ষুণ্ণ রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল রাজ্য সরকার।জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে (এনএইচএম) গত বছর জুলাই থেকে কেন্দ্রের যে বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে, তার নেপথ্যে অন্যতম কারণ এই রং। তবে শেষমেশ রাজ্যকে জানানো হয়েছে যে কেন্দ্র তাদের ‘নীল-সাদা’ রং নিয়ে আপত্তি নেই। ফলে স্বাস্থ্য মিশন বরাদ্দের জট কিছুটা কাটতে পারে বলে আশা করছেন প্রশাসনিক মহল।

রাজ্যসভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবঃ কংগ্রেসের চড়া ক্ষোভ

বরাদ্দ বন্ধ


এমনটা দাবি করা হচ্ছে যে অন্যান্য রাজ্যে ‘আয়ুষ্মান ভারত-হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ নামটি ব্যবহৃত হলেও পশ্চিমবঙ্গে ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ নামটি রাখা হয়েছে। তাছাড়া কেন্দ্রের দেওয়া হলুদ রংয়ের প্রস্তাবও রাজ্য মেনে নেয়নি এবং তাদের পছন্দের নীল-সাদা রংই বজায় রেখেছে। গত বছর জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা এই ‘ব্র্যান্ডিং’ মানতে রাজ্যকে লিখিত পরামর্শ দিয়েছিলেন, তবে রাজ্য তখনও অনড় ছিল।কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় অনুদানভুক্ত প্রকল্পগুলির ‘ব্র্যান্ডিং’ নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় একটি দল রাজ্যে গিয়ে বিষয়টি আলোচনা করে, এমনকি তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণও এসেছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার একই অবস্থানে ছিল। অবশেষে কেন্দ্র রাজ্যকে জানিয়েছে যে তাদের ‘নীল-সাদা’ রংয়ের ক্ষেত্রে আপত্তি নেই।

দিঘার জগন্নাথ ধামঃ রাজনীতির আবহে মুখ্যমন্ত্রীর মন্দির দর্শন

প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে রাজ্যে প্রায় ১৩ হাজার ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ রয়েছে যেখানে ইতিমধ্যে রং করা হয়েছে। রং বদলাতে হলে ব্যাপক খরচ হতে পারতো। তবে, ‘ব্র্যান্ডিং’-এর সমস্যা এখনও পুরোপুরি সমাধান হয়নি এবং কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে যদি কেন্দ্র তাদের অবস্থান থেকে সরে আসে, তবে বরাদ্দের জট কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের আওতায় ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। প্রতি বছর রাজ্যকে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার কথা ছিল যার মধ্যে ৬০% অর্থাৎ ১৮০০ কোটি টাকা কেন্দ্র থেকে এবং বাকি ৪০% অর্থাৎ প্রায় ১২০০ কোটি টাকা রাজ্যকে বরাদ্দ করতে হয়। তবে গত বছরের ২৩ জুলাই থেকে এই বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর