রাজভবন-নবান্ন

ব্যুরো নিউজ,৯ ডিসেম্বর:রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের টানাপোড়েন কমতে শুরু করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে? সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে একাধিক পদক্ষেপ এই ধারণাকে জোরদার করেছে।গত সোমবার রাজ্য বিধানসভায় নবনির্বাচিত ৬ বিধায়ক শপথ গ্রহণ করেন। এই শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে চিঠি পাঠান। যদিও রাজ্যপাল রাজ্য বিধানসভায় এসে শপথ করাবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কারণ এর আগে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজভবন ও বিধানসভার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল।

সিনেমা দেখার নেশায় ধরা পড়ল সোনা চোর

সম্পর্কে নতুন মোড়


তবে এবার সিভি আনন্দ বোস বিধানসভায় এসে নিজে উপস্থিত থেকে ৬ নবনির্বাচিত বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনার পরই সম্পর্ক উন্নতির আভাস স্পষ্ট হতে থাকে।দুই দিন আগেই রাজ্য সরকার সুপারিশকৃত ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে অনুমোদন দেন রাজ্যপাল। দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল ও নবান্নের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল যা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত নতুন বার্তা দিয়েছে।এবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন। সোমবার বিকেল ৪টেয় এই বৈঠক হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে।

বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজের সংকটঃ ভারতের বিকল্প খুঁজছে ঢাকা

 
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমদিকে রাজভবন-নবান্নের সম্পর্ক ভালোই ছিল। রাজ্যপালের বাংলা শেখার আগ্রহ এবং সরস্বতী পুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছিল। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য এবং উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে সংঘাত পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছিল। মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে যেতে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি দেখে মনে হচ্ছে, সম্পর্কের সেই দূরত্ব কমছে।এই বৈঠকের পরই রাজভবন-নবান্ন সম্পর্কের বরফ পুরোপুরি গলেছে কিনা, তা আরও স্পষ্ট হবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর