মিড-ডে মিলের রন্ধনকর্মীই নজরদারির দায়িত্বে!

ব্যুরো নিউজ,৮ ডিসেম্বর:মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার শ্রীপুর জুনিয়র হাইস্কুলে চলছে বার্ষিক পরীক্ষা কিন্তু শিক্ষক সংকটের কারণে পড়ুয়াদের পরীক্ষা নেওয়া এবং নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন স্কুলের একমাত্র অতিথি শিক্ষক বদরুল ইসলাম। ৭১ জন পড়ুয়া নিয়ে কাজ চলছে কিন্তু একমাত্র শিক্ষক বদরুলকে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে একা। যে কারণে বদরুলের সাহায্যার্থে স্কুলের মিড-ডে মিলের রন্ধনকর্মী রেকসোনা বিবি শ্রেণিকক্ষে নজরদারির কাজ করছেন।

রাজ্য পুলিশের এসটিএফ পাবে পৃথক থানা, গোটা রাজ্যে বিশেষ আদালতের ব্যবস্থা

সমস্যায় জর্জরিত


এই স্কুলে বর্তমানে কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া শ্রীপুর জুনিয়র হাইস্কুলে শুরুর দিকে এক জন স্থায়ী শিক্ষক এবং দু’জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অতিথি শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং একমাত্র স্থায়ী শিক্ষক অন্য স্কুলে বদলি হন। এরপর বদরুল ইসলামকে অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। বর্তমানে বদরুলের একা দায়িত্ব পালন করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে জেলার বেশিরভাগ জুনিয়র হাইস্কুল একই সমস্যায় জর্জরিত। শিক্ষক নিয়োগের আইনি জটিলতা কাটিয়ে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও বেশ কিছু স্কুলে আসন ফাঁকা রয়ে গেছে। বিভিন্ন হাই স্কুলে শিক্ষকরা নিয়োগ পেলেও জুনিয়র হাইস্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি।

উত্তাল নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ৩ মৎস্যজীবী

বদরুল ইসলাম বলেন “চারটি শ্রেণি একাই সামলাতে হয়। এখন দু’টি ঘরে পরীক্ষা চলছে, তাই বাধ্য হয়ে মিড-ডে মিলের রন্ধনকর্মীকে বলেছি নজরদারি করার জন্য।” অন্যদিকে রেকসোনা বিবি জানান “মেয়েদের ঘরে নজরদারি করতে আমাকে বলা হয়েছে, কারণ স্যার একা তা করতে পারছেন না।” ভবিষ্যতে শিক্ষক নিয়োগ না হলে স্কুলের কার্যক্রমও চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। অভিভাবকেরাও চিন্তিত। রেকাত আলি নামে এক অভিভাবক বলেন “শিক্ষক নেই, তাই ছেলেকে দূরের হাই স্কুলে ভর্তি করাতে হয়েছে।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমর কুমার শীল জানান, “যত দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হবে, তত দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে, তবে বর্তমানে পদ ফাঁকা রয়েছে।”

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর