ব্যুরো নিউজ,৮ ডিসেম্বর:রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনোনীত করার পর থেকেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। বিজেপি তার অতীত টেনে এনে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে। বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ঋতব্রতর বিরুদ্ধে ওঠা পুরনো অভিযোগ—বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং বিলাসবহুল জীবনযাপনের মতো বিষয়গুলি সামনে এনেছেন। পাশাপাশি বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ তাকে ‘বালিশ নেতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
সিরিয়ার পরিস্থিতি উত্তপ্তঃ দামাস্কাসে বিপদের আভাস, ভারতীয়দের জন্য সতর্কবার্তা
রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়াবে
২০১৭ সালে সিপিআইএম ঋতব্রতকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। তখন তার বিরুদ্ধে নৈতিক অবক্ষয়, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের অসঙ্গতি, এবং দলের নির্ধারিত পথ থেকে সরে গিয়ে বিলাসী জীবনযাপনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই বিতর্ককে হাতিয়ার করেই বিজেপি তৃণমূলকে আক্রমণ করছে। অমিত মালব্য বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মহিলাদের শোষণের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তাকে প্রার্থী করায় তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’
খানাকুলে উন্নয়নঃ সেতু ও স্লুইসগেট নির্মাণে কৃষকদের স্বস্তি
তৃণমূলের মনোনয়ন পাওয়ার পর ঋতব্রত নিজেকে এই বিতর্ক থেকে দূরে রেখেছেন। তিনি দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকৃত বামপন্থার পথ অনুসরণ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সিপিআইএমে থাকার সময় মমতার সমালোচনা করা হয়েছিল আদেশ মেনে। কিন্তু পরে বুঝেছি, তা ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব এবং প্রান্তিক মানুষের জন্য সত্যিই কাজ করেন।’ ঋতব্রতের প্রার্থী হওয়া নিয়ে যেমন সমালোচনা চলছে তেমনই তৃণমূলের তরফে তাঁকে সমর্থন জানানো হচ্ছে। রাজ্যসভা নির্বাচনে এই বিতর্ক রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।