ব্যুরো নিউজ, ৪ ডিসেম্বর : শীতের শুরুতে বাতাসে দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায় যা কেবল মানুষের জন্য নয়। কুকুর ও বিড়ালের মতো পোষা প্রাণীর জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর।ফুসফুসের সমস্যা বা শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। পশু চিকিৎসকদের মতে শীতকালে বায়ুদূষণের কারণে ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের প্রকোপ বাড়ে যা কুকুর ও বিড়ালের শ্বাসযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার আমরা জানি কিন্তু কোন সবজি বেশি খাওয়া বিপজ্জনক জানেন?
শীতে সমস্যার ঝুঁকি বাড়ার কারণ ?

১. শীতকালে বাতাসে দূষিত কণার (পিএম ১০ এবং পিএম ২.৫) পরিমাণ বেড়ে যায়। এগুলি শ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকে শ্বাসনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
২. দূষিত বাতাসের প্রভাবে বিড়ালের রাইনোট্র্যাকেটিস ও ফেলাইন ক্যালসিভাইরাস এবং কুকুরের ‘কেনেল কাফ’-এর মতো রোগ দেখা দেয়।
৩. বিড়ালদের মধ্যে হাঁপানির সমস্যা বেশি হয়, আর কুকুরদের মধ্যে ব্রঙ্কাইটিসের ঝুঁকি থাকে।
৪. বিদেশি পাখি, যেমন গ্রে প্যারট বা ম্যাকাওও দূষণের শিকার হতে পারে।
লক্ষণ:
- শ্বাসকষ্ট
- বারবার কাশি
- চোখ দিয়ে জল পড়া
- শুকনো কাশি বা হাঁপানির লক্ষণ
পোষা প্রাণীর যত্নের উপায়:
কমলালেবু কেন খাওয়া উচিত জানেন ? জেনে নিন এই ফলের উপকারিতা ও গুনাগুন
১. নেবুলাইজ়ার ও ইনহেলার ব্যবহার করুন:
হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবুলাইজ়ার বা ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে।
২. বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করুন:
বাইরের ধুলো বা দূষণ আটকাতে ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। পোষ্যকে এমন ঘরে রাখুন যেখানে তাজা বাতাস প্রবেশ করে।
৩. বিশেষ মাস্কের ব্যবহার:
কুকুর ও বিড়ালের জন্য স্পেশ্যাল মাস্ক পাওয়া যায়। এগুলি ইনহেলার দেওয়ার সময় কাজে লাগে।
৪. পরিষ্কার পরিবেশ:
পোষ্যের ঘর পরিষ্কার রাখুন। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা ছাড়ুন, কারণ সিগারেটের ধোঁয়াও ক্ষতিকর।
৫. শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
লক্ষণ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঠিক চিকিৎসা দিলে বিপদের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।