ব্যুরো নিউজ,৩ ডিসেম্বর:রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে রোগী কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন পদে রদবদল করা হয়েছে এবং এর ফলে শাসক দলের অন্দরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি জানা গেছে ২৪টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির পদে কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। এর মধ্যে অন্যতম যিনি কোপের মুখে পড়েছেন তিনি হলেন শান্তনু সেন। শান্তনু সেন আগে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন।এবার তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তার জায়গায় এসেছেন সুপ্তি পান্ডে যিনি সম্প্রতি মানিকতলা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
এরপর তার জন্য কি অপেক্ষা করছে?
তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন এর আগে আরজি কর দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে একাধিক সমালোচনা করেছিলেন।এর ফলে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়তে শুরু করেছিল।তার বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগও ওঠে যার মধ্যে অন্যতম ছিল স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বদলির জন্য চিকিৎসকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ।শান্তনু সেনের এই ধরনের মন্তব্য রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল।কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারের তরফে রোগী কল্যাণ সমিতির সরকারি প্রতিনিধির নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়, যেখানে অনেক নেতার নাম বাদ পড়েছে।কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, মালদা মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে নতুন সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন তৃণমূল নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেমন শশী পাঁজা, মদন মিত্র, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, এবং অন্যান্যরা।
দলের অন্দরে প্রথম ও শেষ কথা তিনিই, স্পষ্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শান্তনু সেন দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন তার নিরাপত্তাও তুলে নেওয়া হয়েছে। তার জন্য বরাদ্দ দুই নিরাপত্তারক্ষীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের দিকে থেকে শান্তনু সেনের ওপর অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে এবং একের পর এক পদক্ষেপে তার ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে।এই ঘটনায় স্পষ্ট যে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল দল শান্তনু সেনকে নিয়ে কিছুটা বিরক্ত এবং এর ফলে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেও বড় পরিবর্তন আসতে পারে।