ব্যুরো নিউজ,২ ডিসেম্বর:সম্প্রতি রাজ্যের স্কুলে মিড-ডে মিলে ডিমের বরাদ্দ নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।ডিমের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় এখন এই বিষয়ে চর্চা তুঙ্গে।রাজ্যের স্কুলগুলিতে এবার বাচ্চাদের এক সপ্তাহে একটি গোটা ডিম দেওয়া যাবে কিনা, সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে।একদিকে মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি হলেও, অন্যদিকে ডিমের দাম বাড়ার ফলে পড়ুয়াদের জন্য আসল পুষ্টি যোগানো নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে।প্রাথমিক স্তরের (প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি) জন্য ৫ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬ টাকা ১৯ পয়সা। উচ্চ প্রাথমিক স্তরের (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) জন্য তা ৮ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বেড়ে ৯ টাকা ২৯ পয়সা হয়েছে। তবে, এই বৃদ্ধির পরেও প্রশ্ন উঠছে, এই বরাদ্দ কি যথেষ্ট? বর্তমানে ডিমের দাম ৮ টাকা হয়ে গেছে, যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ফলে, মিড-ডে মিলের এই বর্ধিত বরাদ্দেও কি পড়ুয়াদের একটি গোটা ডিম দেওয়া সম্ভব হবে?
বিরাটি স্টেশনে হকার উচ্ছেদ নিয়ে তুমুল উত্তেজনা, রেল অবরোধে অচল হাবড়া লোকাল
‘পি এম পোষন’
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা মনে করেন, এই বৃদ্ধির পরেও ছাত্রদের পুষ্টির অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, প্রকল্পের নাম ‘পি এম পোষন’ দেওয়াই সার! ডিমের পুষ্টিটুকুও তো ছোটদের দেওয়া যাচ্ছে না।ডোমজুড়ের কেশবপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর দাস জানান, মিড-ডে মিলের চার্টে দুটি দিন ডিম দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু ডিমের দাম বাড়ায় সেটা বাস্তবে সম্ভব হয়নি।বরাদ্দ বাড়ানোর পরেও, ডিম ভুজিয়া বা তরকারিতে মেশানো ডিম দেওয়ারই পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন গড়াই বলেন, পড়ুয়াদের পুষ্টি এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে।আমরা দাবি করছি, প্রাথমিকে বরাদ্দ ১২ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১৫ টাকা করা হোক।
নেচার ইনডেক্সে প্রথম স্থানে ভারতের কোন শহর জানেন?
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ পোল্ট্রি ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি মদনমোহন মাইতি জানিয়েছেন, ডিমের দাম এখনই কমার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, মুরগির খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে, যার মধ্যে ভুট্টার কিলো ২৮ টাকা। শীতকালে উৎসবের মরসুমে ডিমের চাহিদা বেশি, তাই দাম বেশি। তবে, দাম পরে কমতে পারে।এই পরিস্থিতিতে, মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকদের মতে, তা প্রকৃত অর্থে পড়ুয়াদের উপকারে আসছে না। বরং, ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণে এই বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।