ব্যুরো নিউজ,২৮ নভেম্বর:বুধবার, চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘এগুলি সবই ছায়ার পিছনে দৌড়ানো!’ এর মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত দেন যে, এসব প্রতিবেদন আসলে কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে। তবে, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার সূত্রে জানা যাচ্ছে, চিনের সামরিক বাহিনীতে দুর্নীতির একটি বিশাল জাল ছড়িয়ে পড়েছে, এবং তা কাটানোর জন্য চিনের সরকারি গোয়েন্দারা এখন সক্রিয়ভাবে মাঠে নেমেছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ইডির বিরুদ্ধে প্রশ্ন, জামিন অর্পিতার
সমস্যা আরও স্পষ্ট
বিশেষ করে, চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডং জুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হওয়া নিয়ে অনেক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’ এর রিপোর্ট অনুসারে, ডং জুনের বিরুদ্ধে এই তদন্ত আসলে একটি বৃহত্তর সামরিক দুর্নীতি অনুসন্ধানের অংশ। যদি এটি সত্যি হয়, তাহলে এটি চিনের ইতিহাসে তৃতীয়বার, যখন কোনো প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে।পূর্বে, চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি শ্যাংফু-কে দুর্নীতির অভিযোগে অপসারণ করা হয়েছিল, মাত্র সাত মাস মন্ত্রিত্বের পরে। তিনি কমিউনিস্ট পার্টি থেকেও বহিষ্কৃত হন। এরপর, ওয়েই ফেংঘে-ও একই ধরনের দুর্নীতি তদন্তের মুখে পড়েছিলেন, এবং তাকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় উত্তাল পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা
সিঙ্গাপুরের ন্যানিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডিলান লোহ সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানান, ‘এটি অবশ্যই একটি ধাক্কা, কারণ এটি স্পষ্ট যে চিন সরকার এমন একজন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী চাইছে, যিনি সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছ এবং দুর্নীতি মুক্ত।’ তিনি আরও বলেন, চিনের সামরিক বাহিনীতে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়, এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে চিনা সামরিক বাহিনীর ব্যবসায়ীদের সাথে দীর্ঘ সম্পর্ককে দায়ী করেন তিনি।চিনের সরকারের তরফে এই ঘটনাটি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে, বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং এতে চিনের সামরিক বাহিনীর ভেতরের সমস্যা আরও স্পষ্ট হয়েছে।
