ব্যুরো নিউজ,২৩ নভেম্বর:চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এখন প্রায়ই খবরের শিরোনামে।সম্প্রতি, আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে তার বিতর্কিত আচরণ আবারও আলোচনা সৃষ্টি করেছে।স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন যে, তাদের নাম আবাস যোজনার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি, এই নিয়ে বিধায়কের কাছে তারা নালিশ জানিয়েছিলেন।এরপর,বিধায়ক অসিত মজুমদার স্থানীয় বিডিও (ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার)-কে ফোন করে এবং তাদের কাজের জন্য ধমক দেন।বিধায়কের অভিযোগ, তিনি যে আবাসের তালিকা পাঠিয়েছিলেন, সেটির কোনো সমীক্ষা হয়নি। তিনি মেজাজ হারিয়ে বিডিওকে ফোন করেন এবং বলেন, ‘আপনি এনকোয়িরি করে রিপোর্ট দিন, তারপর আমি ডিএমের সঙ্গে কথা বলছি’। বিডিও উত্তর দেন যে, দরখাস্ত দেওয়ার সেল আছে, সেখানে আবেদন করতে হবে। কিন্তু বিধায়ক ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি, তার মানে আমার পাঠানো তালিকার কোনো মূল্য নেই?’
২০২৫-এও একাধিক সর্বনাশ হতে পারে এই রাশিগুলির!কারন জেনে নিন
রাজনৈতিক ভবিষ্যত

এই কথোপকথনে বিধায়ক আরও বলেন, ‘চিফ মিনিস্টার বলছেন, আমি চিফ মিনিস্টারকে কমপ্লেন করব।’ এরপর, তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মীরা সরকারি প্রকল্পকে ডোবাচ্ছে, যোগ্যদের নাম বাদ দিয়ে অযোগ্যদের নাম যুক্ত করছে। আমি ডিএমকে বলব, এদের সাসপেন্ড করা উচিত।’ বিধায়কের এ ধরনের কথা সরকারি কর্মীদের প্রতি তার ক্ষোভ প্রকাশ করে।এটি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।বিধায়কের কথায়, তিনি যে তালিকা পাঠিয়েছিলেন, সেটি কেন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এর পরেও তিনি মন্তব্য করেন, ‘আপনি ফাজলামো মারছেন! যে ৫০০ বাড়ি আমি দিয়েছি, আপনি এনকোয়ারি করে কী করতে চান?’
আরজি কর মর্গে ডোমদের ঝগড়া নিয়ে উত্তেজনা , পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়
এই ঘটনাটি ছাড়াও, কিছুদিন আগে এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়েছিলেন অসিত মজুমদার। সেখানে, এক শিশু স্কুলে দেরি করে যাওয়ায় তাকে বকাঝকা করা হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ ওই শিশু কয়েক মাস ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যায়নি এবং খাবার পায়নি। বিধায়ক এই অভিযোগ শুনে দিদিমণিকে ধমক দেন এবং জানান, যেহেতু তিনি নিজেই দেরি করে এসেছেন, তাই তাকে হাজিরার খাতায় সই করতে দেওয়া হবে না।এ ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, বিধায়ক অসিত মজুমদার সম্প্রতি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান মজবুত করতে এবং দলের পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল দলের চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে পড়া পরিস্থিতি সামাল দিতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলে ধারণা।এসবের কারণে তৃণমূলের ভেতরে একরকম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দেখার বিষয় হবে, এই বিতর্কের পর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত কেমন হয়।
 
				
 
								 
								 
								 
								

















