ব্যুরো নিউজ,২০ নভেম্বর:কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। কসবায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীরা ফিল্মি কায়দায় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে হত্যার চেষ্টা চালায়। যদিও পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়, কিন্তু এর পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা বেড়েছে। এই ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, ‘এনাফ ইজ এনাফ! কোথায় আছে নেটওয়ার্ক? কেন বাইরে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আসছে?’ তার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও, যিনি বলেন, ‘সুশান্তের ওপর হামলা পুলিশি ব্যর্থতা।’
রাজ্যপালের মন্তব্যে তৃণমূলের পাল্টা জবাব, বিজেপির সমালোচনা
অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ

অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র একেবারে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন। তিনি কলকাতা পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘কলকাতা পুলিশ অতি পরিশ্রমী, তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। পুলিশ নানা ধরনের কাজ সামাল দিচ্ছে। তাদের কাজের পরিধি এত বড়, যে সময় পেলে তারা কাজ ভালোভাবে করতে পারে।’ মদন মিত্র আরও বলেন, ‘এটা সৌগত রায়ের সিকিউরিটি নয়, বরং তাকে তো বাজার করতে বলা হচ্ছে, রান্না, চুন, পান এসবের দায়িত্বও তাদের ওপর।’
কৃষ্ণনগরে পুলিশের বাধায় সুকান্ত মজুমদারের বেলডাঙ্গা যাত্রা বিপর্যস্ত, তীব্র প্রতিবাদ
এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে একধরনের বিভাজন স্পষ্ট হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার বেশ কিছু কাউন্সিলর এখন আতঙ্কিত এবং তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে মদন মিত্র পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করলেন এবং জানান যে, কলকাতা পুলিশ সঠিকভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ তাদের দক্ষতা দেখিয়েছে।’ এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এখন রাজ্য রাজনীতির মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে আছড়ে পড়ছে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ।



















