ব্যুরো নিউজ,১৮ নভেম্বর:এসএসকেএম হাসপাতালের এক জুনিয়র চিকিৎসক রবিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি হস্টেল ঘর থেকে উদ্ধার হন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দ্রুত সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, ওই চিকিৎসক ঘুমের ওষুধ ও মানসিক রোগের ওষুধ মিশিয়ে মোট ২০টি ট্যাবলেট খেয়েছিলেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও বিপদ পুরোপুরি কাটেনি এবং তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য
এই চিকিৎসক স্নায়ুরোগ বিভাগের হাউস স্টাফ হিসেবে কাজ করতেন। তার অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সহকর্মীরা জানান, তিনি সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। এটি স্পষ্ট যে, ওই চিকিৎসক মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন, তবে তার এই পদক্ষেপের পেছনে ঠিক কী কারণ ছিল, তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে।এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং জানানো হয়েছে, এই চিকিৎসকের আত্মহত্যার চেষ্টা ছিল কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এই ঘটনার সাথে একটি পুরোনো ঘটনা তুলনা করা হচ্ছে, যা গত মাসে ঘটে। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে এক চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্য্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন সিনিয়র রেসিডেন্ট, এবং তাঁর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছিল। দীপ্রের মৃত্যুর পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল, যেখানে একটি সিরিঞ্জ পাওয়া গিয়েছিল।
কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টাঃ বিহার যোগের সন্দেহ, গুলজার গ্রেফতার
এসএসকেএমের এই নতুন ঘটনা চিকিৎসক মহলে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসছে, যেমন – মানসিক চাপের কারণে চিকিৎসকরা কেন এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন? আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, থ্রেট কালচার এবং কর্মস্থলে মানসিক চাপের প্রভাব কি এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে? বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, এবং আশা করা যাচ্ছে যে খুব শিগগিরই বিস্তারিত তথ্য সামনে আসবে।