ব্যুরো নিউজ,১৩ নভেম্বর:মাইক ওয়াল্টজ, যিনি এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন, ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও মজবুত করার পক্ষে একাধিক বার সওয়াল করেছেন। ২০২১ সালে, মার্কিন কংগ্রেসম্যান ওয়াল্টজ এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি একত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘অপ-এড’ লিখেছিলেন, যেখানে তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ‘আমেরিকাকে এমন দেশগুলির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, যা বিশ্বমঞ্চে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে, এবং এর মধ্যে সবচেয়ে আগে ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো উচিত।’ এই ‘অপ-এড’-এ ওয়াল্টজ এবং হ্যালি ভারতের শক্তি ও প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ভারত একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, যার সেনাবাহিনী ১০ লাখ সদস্যের, মহাকাশ প্রযুক্তিতে তারা দুর্দান্ত এবং তাদের নৌবাহিনী ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে।’ তারা আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হলে, দুই দেশই একত্রে আফগানিস্তান কিংবা চীনের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।’
মাস্ক এবং বিবেককে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিলেন ট্রাম্প, ঘোষণা করলেন বড় পদক্ষেপ
শক্তি আরও বাড়াতে সহায়তা করবে
ওয়াল্টজ এবং হ্যালি তাজিকিস্তানের ফারখোর বিমানবেসের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে জোট থাকা মানে আমেরিকাকে আফগানিস্তানে প্রয়োজনে ফারখোর বিমানবেস ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া, যা একদম আফগান সীমান্তের কাছাকাছি।’ তারা আরো বলেন, ‘ভারত ও আমেরিকার মৈত্রী চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।’ মাইক ওয়াল্টজ একজন অভিজ্ঞ সামরিক কর্মকর্তা, যিনি আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। পেন্টাগনে আফগানিস্তান সম্পর্কিত নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি, তিনি বাইডেন প্রশাসনকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তার মতে, তালিবানদের হাতে বিপুল অস্ত্র চলে যাওয়াটা ছিল একটি বড় ভুল।
যাতায়াত মাধ্যম দ্রুত জন্য তৈরি হচ্ছে ‘বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে’
চীন ইস্যুতেও ওয়াল্টজ বেশ কঠোর মনোভাব পোষণ করেছেন। তিনি চীনের অর্থনৈতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বারংবার সরব হয়েছেন এবং চীনের বিরুদ্ধে প্রযুক্তি চুরির অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া, ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটের জন্যও তিনি চীনকে নিন্দা করেছিলেন, বিশেষত উইঘুর মুসলিমদের প্রতি অত্যাচারের কারণে।মাইক ওয়াল্টজের এই ধরনের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভারতকে গুরুত্ব দেওয়া, আগামী ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সামরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকার শক্তি আরও বাড়াতে সহায়তা করবে।