ব্যুরো নিউজ ৮ নভেম্বর : ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্যের রহস্যজনক মৃত্যুতে প্রকাশ পাচ্ছে একাধিক নতুন দিক। তার মৃত্যুর আগে স্ত্রীকে পাঠানো কিছু মেসেজ ঘিরে জোরদার হচ্ছে সন্দেহ। ওই মেসেজগুলোতে দীপ্র তার মানসিক অশান্তির কথা স্পষ্টভাবে লিখেছেন।
রান্নাঘরের চিমনি পরিষ্কার করার সহজ টিপস, ঝকঝকে রাখুন রান্নার স্থান
স্ত্রীকে পাঠানো একটি মেসেজে তিনি জানিয়েছিলেন, “এখনই বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল না,” এবং পুরোনো সম্পর্কের ক্ষত সেরে ওঠার আগে বিয়ে করা তার জন্য মানসিকভাবে কঠিন হয়ে উঠেছিল।দাম্পত্য জীবনে সুখের অভাব এবং সম্পর্কের টানাপোড়েন তার মানসিক সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছিল বলেই অনুমান করা হচ্ছে। দীপ্র লিখেছেন, তিনি পরিস্থিতির শিকার এবং এই “নোংরা পৃথিবী” এবং “অবিচার” দেখে বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। মেসেজে উল্লেখ করা হয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের কথাও, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, কাজের পরিবেশও তার মানসিক অশান্তির অন্যতম কারণ হতে পারে।দীপ্র ভট্টাচার্য ঝাড়গ্রামের ঘোড়াধরা এলাকায় একাই থাকতেন। তার স্ত্রী ও পরিবার অন্যত্র বসবাস করতেন। গত বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ তার সাথে যোগাযোগ না করতে পেরে সন্দেহ হয় স্ত্রীর। তিনি ছুটে আসেন ফ্ল্যাটে, দরজা ভাঙতেই দীপ্রের নিথর দেহের পাশে পড়ে থাকা সুইসাইড নোট ও সিরিঞ্জ পাওয়া যায়।
কলকাতা বন্দরে দুর্ঘটনা, মালবোঝাই কন্টেনার উল্টে ট্রেলারচালকের মৃত্যু
এই ঘটনা দীপ্রের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের চাপের ইঙ্গিত বহন করছে, যা তাকে চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছিল। এমন অকালমৃত্যুতে চিকিৎসক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং পরিস্থিতির পিছনে থাকা মানসিক চাপ ও সম্পর্কের টানাপোড়ন নিয়ে তদন্ত চলছে।