ব্যুরো নিউজ ৭ নভেম্বর : শাড়ি, ধুতি বা চুড়িদার প্রতিদিন পরিধান করা আমাদের অনেকের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। তবে সম্প্রতি কিছু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন শাড়ি বা ধুতি পরে কোমরে শক্ত করে ডোরি বাঁধা ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে, এমনকি এই সমস্যা থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এইচসি জি ক্যান্সার ক্যানট্রের অনকোলজিস্ট ডাক্তাররা এ বিষয়ে বলেন, “শাড়ি ক্যান্সার নামক এই বিশেষ পরিস্থিতি সাধারণত কোমরের চামড়ায় দীর্ঘদিন ধরে পেটিকোটের টাইট বাঁধন থেকে তৈরি হওয়া ত্বকের জ্বালা থেকে সৃষ্টি হয়।”
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর সাথে যোগাযোগের সহজ উপায়, অভিভাবকদের জন্য গাইড
কীভাবে শাড়ি বা পেটিকোট ক্যান্সার সৃষ্টি হয়?
“শাড়ি ক্যান্সার” বা “পেটিকোট ক্যান্সার” সাধারণত তখনই দেখা যায় যখন কোমরে দীর্ঘ সময় ধরে একই জায়গায় শক্ত করে ডোরি বা বেল্ট বাঁধা থাকে। ক্রমাগত ত্বকে চাপ পড়ার ফলে ত্বকের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা আলসার সৃষ্টি করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, এই সমস্যা মার্জোলিন আলসারে পরিণত হতে পারে যা ম্যালিগন্যান্সির ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রাথমিক লক্ষণ কী?
ভারতের গরম ও আর্দ্র জলবায়ু এই অবস্থাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। গ্রামীণ এলাকায় যেখানে স্বাস্থ্যসেবার সহজ প্রবেশাধিকার নেই, সেখানে মহিলারা প্রাথমিক লক্ষণ যেমন ত্বকে চুলকানি, পিগমেন্টেশন পরিবর্তন বা স্কেলিংকে গুরুত্ব দেন না, ফলে সমস্যা বাড়তে পারে। সাধারণত ঘাম এবং ধুলা জমে ত্বকে চুলকানি এবং ঘামাচির সমস্যা তৈরি হয়।
পুরুষদের মধ্যেও ঝুঁকি
শুধু মহিলাদের মধ্যে নয়, যারা চুড়িদার বা ধুতি পরিধান করেন, তাদের মধ্যেও ত্বকের সমস্যা দেখা যায়। যদিও এই অবস্থা বিরল, এটি সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।
দেব ও শুভশ্রী কি আবার রুপোলি পর্দায় একসঙ্গে কাজ করবেন?কী বললেন দেব
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
- টাইট পেটিকোট এড়িয়ে চলুন: কোমরে বেশি চাপ পড়ে এমন টাইট পেটিকোট বা পোশাক এড়িয়ে চলুন। যদি ত্বকে পিগমেন্টেশন বা স্কেলিংয়ের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে আলাদা ব্যবস্থা নিন।
- প্রশস্ত কোমরবন্ধ বেছে নিন: পেটিকোটের প্রশস্ত কোমরবন্ধ ব্যবহার করুন, যা কোমরে সমানভাবে চাপ ছড়াতে সাহায্য করে।
- বায়ু সঞ্চালন বজায় রাখুন: বিভিন্ন সময়ে কোমরের স্তর পরিবর্তন করুন। বাড়িতে থাকাকালীন ইলাস্টিক কোমরবন্ধসহ আলগা পোশাক পরার চেষ্টা করুন।
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: কোমরের স্থানটি নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন, বিশেষত যারা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য।
এই সাবধানতাগুলি আমাদের শরীরকে ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে। তবে ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ বা ত্বকের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
