গোলাপ জল vs. শসার রস

ত্বকের যত্নে গোলাপ জল এবং শসার রস দু’টি উপকারী উপাদান। তবে, এই দু’টির কাজ কীভাবে আলাদা তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে ফ্রিজে রাখা গোলাপ জল খুবই কার্যকর। আবার ওপেন পোরস থাকলে শসার রস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই দু’টি উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং পিএইচ স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাহলে দেখা যাক, এগুলো কি সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়?

গোলাপ জল কিভাবে উপকারি?

উৎসবের পর চুলের সঠিক যত্ন নিন ঘরোয়া ডিমের এই প্যাকগুলি দিয়ে!

১) গোলাপ জল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি রাসায়নিক মুক্ত এবং ত্বকের পিএইচ সমতা বজায় রাখতে কার্যকর।

২) ত্বকের লালচে ভাব এবং জ্বালাপোড়া কমাতেও গোলাপ জল ব্যবহার করা যায়। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময়ে উপকারী।

৩) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গোলাপ জল ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। ফলে ত্বক অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে।

রান্নাঘরের তোয়ালে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা রাখার কিছু ঘরোয়া টিপস

শসার রসের উপকারিতা কী?

১) শসা প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা। তাই ত্বকের অস্বস্তি কমাতে এবং চোখের চারপাশে ফোলা ভাব দূর করতে শসার রস খুবই কার্যকর।

২) শসার মধ্যে জল বেশী থাকায় এটি ত্বকের গভীর থেকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের পেলবতা রক্ষা করে।

৩) গোলাপ জলের মতো শসার রসে রয়েছে প্রদাহনাশক গুণ, যা স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য উপকারী।

কী ধরনের ত্বকের জন্য কোনটি ব্যবহার করবেন?

১) খসখসে ও শুষ্ক ত্বকের জন্য গোলাপ জল উত্তম। এটি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং পেলবতা বজায় রাখে। ত্বকে সমস্যা না থাকলেও গোলাপ জল ব্যবহার করা যেতে পারে।

২) স্পর্শকাতর এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শসার রস ভালো। এটি মুখ বা চোখের তলায় ফোলা ভাব দূর করে এবং ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। ওপেন পোরসের সমস্যা থাকলেও শসার রস ব্যবহার করা যেতে পারে।

সুতরাং, আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্য বেছে নিন এবং ত্বককে সুন্দর রাখুন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর